কারওয়ান বাজারে আরও একটি সফটওয়্যার পার্ক

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আরও একটি সফটওয়্যার পার্ক স্থাপনের জন্য জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান।
      ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আরও একটি সফটওয়্যার পার্ক স্থাপন করা হবে। একই স্থানে থাকা আগের পার্কটির পাশেই নতুন পার্কের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জমি হস্তান্তর করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে (সাবেক জনতা টাওয়ার) নতুন পার্কের জমি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দকৃত জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, আইটি সেক্টরে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে জায়গার জন্য চাহিদা পূরণ এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাওরান বাজারে আরও একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন পার্কে ১ লাখ ২০ হাজার বর্গফুট জায়গাবিশিষ্ট ১২ তলা একটি গ্রিন বিল্ডিং তৈরি হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ ভবনটির সংস্কার করে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করে, যা ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে পার্কটিতে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ছাড়া এখানে ১৫টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, দেশের আইটি সেক্টরের বিকাশের স্বার্থে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজউক ইতিমধ্যে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের দক্ষিণ পাশসংলগ্ন অব্যবহৃত শূন্য দশমিক ৪৭ একর জমিতে ‘ভিশন ২০২১ টাওয়ার-২ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ নির্মাণের জন্য হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে বরাদ্দ দিয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের ভবন নির্মাণের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আইটি কোম্পানি এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাবে। ফলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আজিজুল ইসলাম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলামসহ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, রাজউক এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।