‘বাবাকে ধন্যবাদ। কারণ, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বাবা আমাকে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযোগী মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন, এটা তোমার জীবন গঠনে অনেক সাহায্য করবে। অনেক কিছু শিখতে পারবে ইন্টারনেট থেকে। সত্যি আমি পেরেছি!’ আই-ক্যাপ্টেন হওয়ার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে এমনটাই বলল নূর-ই সুলতানা। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
গ্রামীণফোন-প্রথম আলোর উদ্যোগে এই কর্মশালা শুরু হয়েছিল গত ৩০ আগস্ট। শেষ হলো ২৫ সেপ্টেম্বর। শেষ সপ্তাহেও ছিল শিক্ষার্থীদের বিপুল অংশগ্রহণ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আই-জিনিয়াস ফয়সাল আহমেদ বলল, অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়টি আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি। এটা আমার অনেক জড়তা দূর করেছে। এ জন্য আমি ভবিষ্যতে উপকৃত হব বলেই মনে করি।
অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের আই-ক্যাম্পটিও ছিল ভীষণ উৎসবমুখর। এ কলেজে আই-ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শারমিন খাতুন। সে বলে, ‘আমাদের কলেজে এত বড় অনুষ্ঠান! তাও আবার আমাদের উপকারের জন্য, খুবই ভালো লাগছে।’ শারমিনের কন্ঠে অন্য শিক্ষার্থীদের কথার প্রতিধ্বনী।
জীবনের সবকিছু প্রযুক্তি হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুর মূলে চলে আসেছে ইন্টারনেট। আর আই-ক্যাম্প হচ্ছে সেই ইন্টারনেট শেখার গল্পের সূচনা মাত্র! আই-ক্যাম্প শেষ হলেও ইন্টারনেট উৎসব এখনো বাকি! এ বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব। যেখানে অপেক্ষা করছে আরও একরাশ চমক! তাই শিক্ষার্থীরা জোরেশোরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের বিশাল বড় আয়োজনটায় জয়ী হওয়ার জন্য।
প্রতিনিধিদের পাঠানোর তথ্যের ভিত্তিতে লেখাটি গ্রন্থনা করেছেন সুচিত্রা সরকার’
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করো www.prothom-alo.com/internetutshab
www.fb.com/internetutshab