উন্নয়ন ফি এবার অর্ধেক, চৌর্যবৃত্তির শাস্তিতে ট্রাইব্যুনাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৯-২০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর উন্নয়ন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এ ছাড়া তিন শিক্ষকের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির শাস্তি নির্ধারণে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে সিন্ডিকেট।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিন্ডিকেটের এক নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে থাকা দুজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুই সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথ গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির শাস্তি নির্ধারণে এর আগের সিন্ডিকেট সভায় ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল; কিন্তু ট্রাইব্যুনালে কারা থাকবেন, তা সেদিন নির্ধারিত হয়নি আজকের সিন্ডিকেট সভা থেকে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ট্রাইব্যুনালের সদস্য হবেন বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের একজন প্রতিনিধি ও অভিযুক্তদের (সামিয়া-মারজান) পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি। শিগগিরই ওই দুই সদস্যের নাম ঠিক করে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ট্রাইব্যুনালকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবেন। এটি সর্বোচ্চ আট সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে।

সিন্ডিকেটের ওই সদস্যরা আরও জানান, চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ২০১৮ সালে সিন্ডিকেটের এক সভা থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি একাডেমিক কোনো শাস্তি পাননি। তাঁর শাস্তি নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ও সিন্ডিকেট সদস্য এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু নিয়োগ-পদোন্নতি-চাকরিচ্যুতির বিষয়ে আজকের সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে আসন্ন শীতকালীন ক্লাস ছুটি ১৭ দিনের পরিবর্তে ৭দিন করা হয়েছে। আর গ্রীষ্মকালীন ছুটি ৪০ দিনের পরিবর্তে ২০ দিন করা হয়েছে৷