শিক্ষকতা
শিক্ষকতা

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ নিয়ে যা জানা গেল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন প্রার্থীরা চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। আইনি জটিলতা থাকায় ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছিল চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে তদন্ত কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে আদালতে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ কবে নাগাদ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন দু–এক দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়া হবে। জমা দেওয়ার পর আদালতে শুনানি করবেন। যেহেতু বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদালতে শুনানি হতে পারে। আদালতের শুনানির পরই আমরা চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারব।’

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়।

২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরের দিন প্রকাশ করা হয়।

এদিকে ‘মাদারীপুরে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ঢাকায় সমাধান: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (তৃতীয় ধাপ)’ শিরোনামে গত ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশী ১৬ জন প্রার্থী একটি রিট করেছিলেন।