চিকিৎসক নিয়োগের ৪২তম বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে নিয়োগ পাননি এমন ১ হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা।
ডা. রেজওয়ান কবীর বলেন, ‘সাধারণ বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে যোগদান পর্যন্ত দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। বর্তমানে ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রম চলমান। ৪২তম বিসিএসের পর চিকিৎসক নিয়োগে আর কোনো বিশেষ বিসিএস হয়নি। যেহেতু আমরা উত্তীর্ণ হয়ে আছি, তাই আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে নীতিগতভাবে দ্রুত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দাবি জানাই, এ নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৪২তম বিসিএসের ১ হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসককে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হোক। ১ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে ৫৮২ জন নন-ক্যাডারে বিভিন্ন অধিদপ্তরে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু নন-ক্যাডারে চিকিৎসক নিয়োগের নজির এর আগে দেখা যায়নি। তাই তাঁরাও ক্যাডার পদে নিয়োগ চান। আমরা নিয়োগের দাবি জানিয়ে গত ২৫ নভেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
ডা. ফাতেমা আক্তার বলেন, ৪২তম বিশেষ বিসিএসে প্রিলিতে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ২২ জনের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে চার হাজার চিকিৎসক ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন। সে সময় সরকারি কর্ম কমিশনে যোগাযোগ করলে আমাদের বলা হয়েছিল, পদ স্বল্পতার কারণে আমাদের নিয়োগ দেয়নি। এরপর আমাদের বলা হয়, সরকার চাইলে যেকোনো জরুরি অবস্থায় আমাদের নিয়োগ দিতে পারে। এখন দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট দূর করতে পারে।’
করোনার প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রিলি ও ভাইভায় উত্তীর্ণ চার হাজার জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। পিএসসি যে সুপারিশ করেছিল, সেখান থেকে ৪৩ প্রার্থী চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েছিলেন।