বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একাধিক নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পিএসসির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৯ম, ১০ম ও ১১তম গ্রেডে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে অধিকাংশ কারিগরি ও প্রফেশনাল পদ এবং কিছু সাধারণ পদ রয়েছে। আবেদন করা যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে পরীক্ষার তারিখের জন্য অপেক্ষা না করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ৪০তম বিসিএসে (ফিশারিজ ক্যাডার, মেধাক্রম অষ্টম) সুপারিশপ্রাপ্ত মিঠু মোকাররম।
আবেদনকারী প্রার্থী ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হলে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবেদনকারী প্রার্থী ১ হাজার জনের কম হলে শুধু ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলায় ২০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ ও বিষয়ভিত্তিক ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৪০ নম্বর, ইংরেজিতে ৪০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ ও বিষয়ভিত্তিক ৮০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।
সাধারণ পদের ক্ষেত্রেও আবেদনকারী প্রার্থী
১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি নেওয়া হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলায় ২৫ নম্বর, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ জ্ঞানে ২৫ এবং গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান থেকে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৫০ নম্বর, ইংরেজিতে ৫০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা থেকে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসে।
এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষার পূর্ণ সময় চার ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবম গ্রেডের প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এবং ১০ম থেকে ১১তম গ্রেডের প্রার্থীদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে গড়ে পাস নম্বর ৪৫ শতাংশ। তবে ৯ম গ্রেডের কারিগরি বা প্রফেশনাল পদে বিষয়ভিত্তিক ৩০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, এ ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে অকৃতকার্য ধরা হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে ২৫ শতাংশের কম নম্বর পেলে সেই বিষয়ের নম্বর যোগ হবে না। ৯ম গ্রেডের সাধারণ পদে যেকোনো বিষয়ে ২৫ শতাংশের কম নম্বর পেলে সেই বিষয়ের নম্বর যোগ হবে না। ১০ম গ্রেডের কারিগরি পদে বিষয়ভিত্তিক ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে অকৃতকার্য ধরা হবে।
লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে একটি রচনা, একটি সারাংশ বা সারমর্ম, একটি চিঠি বা আবেদনপত্র, একটি বঙ্গানুবাদ আর ব্যাকরণ থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ব্যাকরণের জন্য ভাষা, দেশি-বিদেশি শব্দ, পদ প্রকরণ, কারক, সমাস, বাগ্ধারা, লিঙ্গ পরিবর্তন, বাচ্য, প্রকৃতি-প্রত্যয় ও সন্ধিবিচ্ছেদ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
ইংরেজি বিষয়ে একটি রচনা, একটি চিঠি, একটি অনুচ্ছেদ ও ইংরেজি ব্যাকরণ থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ইংরেজি ব্যাকরণের জন্য ইউজ অব ভার্ব, প্রিপজিশন, ভয়েস, ন্যারেশন, ইডিওমস অ্যান্ড ফ্রেজ ও কারেকশন অব ইরর ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে প্রশ্ন আসে। গণিতের জন্য পাটিগণিত থেকে সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, গড়, অনুপাত, সমানুপাত, সরল, সেট ও সংখ্যা পড়তে হবে। বীজগণিত থেকে বর্গ ও ঘন–এর সূত্র এবং প্রয়োগ, গসাগু, লসাগু, উৎপাদকের বিশ্লেষণ ও সমাধান ইত্যাদি পড়তে হবে। জ্যামিতি থেকে রেখা, ত্রিভুজ, কোণ, বৃত্ত, ঘন জ্যামিতি, চতুর্ভুজ–সম্পর্কিত বিষয়াদি ও ত্রিকোণমিতি ইত্যাদি অনুশীলন করতে হবে। মানসিক দক্ষতার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষায় সচরাচর যেগুলো বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে সেগুলো পড়তে হবে।