বিসিএস নন-ক্যাডার পদে চাকরিপ্রার্থীদের মানববন্ধনের পর নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য নতুন কোনো নিয়ম করা হয়নি। নন-ক্যাডার নিয়োগের পদ উল্লেখ করার বিধিটি সরকার ২০১০ সালে করে। সেটি ২০১৪ সালে সরকারই সংশোধন করে। পিএসসি সরকারের সেই বিধি অনুসরণ করে। এ নিয়োগবিধি আগে যেমন ছিল, তেমনই রয়েছে। বর্তমান কমিশন নন–ক্যাডার নিয়োগবিধিতে কোনো পরিবর্তন করেনি। কমিশন নিজেদের কোনো সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে না, বরং সরকারের বিধিতে যা বলা আছে, সেটিই বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তারা।
৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ নন-ক্যাডার প্রার্থীরা নন-ক্যাডারে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি বাদ দিয়ে আগের নিয়মে চাকরি পাওয়ার দাবি জানিয়ে ৬ অক্টোবর পিএসসির সামনে মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গেও দেখা করে তাঁদের দাবির বিষয়ে কথা বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি বলছে, বিসিএস থেকে নন–ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার ২০১০ সালের বিধি ২০১৪ সালে সংশোধন করে। সরকারের ওই বিধিতে বলা আছে, বিজ্ঞপ্তিতে নন–ক্যাডার শূন্য পদের বিবরণ ও সংখ্যা উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ২৮ থেকে ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে নন–ক্যাডার শূন্য পদের বিবরণ ও সংখ্যা উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসেও পদসংখ্যা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি, তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদের প্রাপ্যতা
অনুযায়ী যেটা বলবে, সেটা করা হবে। যেহেতু বিধিতে পদ উল্লেখ করার কথা বলা আছে, তাই ৪৫তম বিসিএস থেকে পিএসসি পদ উল্লেখ করার জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে ক্যাডারের পাশাপাশি নন–ক্যাডারের পদ উল্লেখ থাকার জন্য কাজ করা হচ্ছে। ক্যাডার যেমন পছন্দ করা যাবে, তেমনি নন–ক্যাডারের পদও পছন্দ করার সুযোগ রাখা হবে।
পিএসসি সূত্র জানায়, বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা মনে করছেন পিএসসি নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু এটি ঠিক নয়। পিএসসি কেবল সরকারের বিধি বাস্তবায়ন করার কাজ করছে। অনেকে মনে করতে পারেন নন–ক্যাডারে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের মধ্যে পদ ভাগ করলে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদ কমে যাবে। কিন্তু যার যার যা প্রাপ্য, তার বাইরে তো দেওয়া যাবে না। যদি ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদ সবাইকে দেওয়া হয়, তাহলে অন্য বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রার্থীরাও তা–ই চাইতে পারেন। কিন্তু তা দেওয়া সম্ভব হবে না। যার যেটুকু প্রাপ্য, তা যাতে নিশ্চিত হয়, সে চেষ্টাই করছে পিএসসি।