৪৫তম বিসিএসের খাতা দেখায় পরীক্ষকদের প্রতি কঠোর পিএসসি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করেছেন প্রথম পরীক্ষক। সেগুলো পরীক্ষা করে তা দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি জানিয়েছে, দ্রুত ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার কার্যক্রম চলছে।

খাতার অবস্থান কোথায় বা কার কাছে, এ ছাড়া কাদের কাছে আছে খাতা, সে বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে পিএসসি। খাতা দেখার কার্যক্রমের বিষয়ে এবার কিছুটা কঠোর হয়েছে পিএসসি। পরীক্ষকদের সময়ের মধ্যেই খাতা জমা দেওয়ার বিষয়ে জোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিএসসি সূত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি পরীক্ষা শাখার এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘৪৫তম বিসিএসে প্রথম পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ। অনেকগুলো যাচাই–বাছাইও শেষ করছি। সেগুলো এখন দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে গেছে। কিছু কিছু পরীক্ষক দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতাও জমা দিচ্ছেন।’ এবার কঠোর বার্তা দেওয়ার কথা বলে ওই কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষকদের সময়ের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করার তাগিদ দেওয়া আছে। ব্যত্যয় হলে পিএসসি আর তাঁদের খাতা দেবে না। ৪৫তম বিসিএসের খাতা যথাসময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ওই কর্মকর্তা।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা শুরু হয় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি, শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি।

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪।

৪৫তম বিসিএসে প্রথম পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ। অনেকগুলো যাচাই-বাছাইও শেষ করছি। সেগুলো এখন দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে গেছে। কিছু কিছু পরীক্ষক দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতাও জমা দিচ্ছেন।
পিএসসি পরীক্ষা শাখার এক কর্মকর্তা

৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।