বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থী দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রায় চার শতাধিক নিয়োগপ্রত্যাশী মানববন্ধনে অংশ নেন।
আজ সোমবার ঢাকায় এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করেন প্রার্থীরা। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত পরিবারের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
৩২ হাজার শিক্ষকের চূড়ান্ত যোগদান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির জন্য আটকে আছে। প্রাথমিক সুপারিশের ছয় মাস চলে গেল। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি, যা আমাদের জন্য হতাশার। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। চূড়ান্ত সুপারিশ বিলম্বিত হওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমাদের হেয় হতে হচ্ছে।মো. ইমরান খান ,ঝিনাইদহ থেকে এসে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিয়োগ প্রত্যাশী
কুমিল্লা থেকে আসা নিয়োগপ্রত্যাশী রাশেদুল ইসলাম বলেন, একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে। ফলে এনটিআরসিএর অধীনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের আস্থা কমছে। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক ছাড়া কোনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন কখনোই সম্ভব নয়। শিক্ষক নিয়োগের এমন দীর্ঘসূত্রতা যেন এনটিআরসির ধারাবাহিকতায় রূপ নিয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও শিক্ষার সার্বিক উন্নতির জন্য ৩২ হাজার শিক্ষক দ্রুত নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
ঝিনাইদহ থেকে এসে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিয়োগপ্রত্যাশী মো. ইমরান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩২ হাজার শিক্ষকের চূড়ান্ত যোগদান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির জন্য আটকে আছে। প্রাথমিক সুপারিশের ছয় মাস চলে গেল। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি, যা আমাদের জন্য হতাশার। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। চূড়ান্ত সুপারিশ বিলম্বিত হওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমাদের হেয় হতে হচ্ছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত এসব প্রার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পাস করে জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান নিশ্চিতকরণের পর আবারও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তাই এসব প্রার্থীদের এভাবে দিনের পর দিন নিয়োগের জন্য হতাশা ও অনিশ্চয়তায় ফেলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা অমানবিক ও অযৌক্তিক।
দ্রুত ৩২ হাজার শিক্ষকের যোগদানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর কাছে অনুরোধ জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ না করলে প্রার্থীরা আরও বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।