বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে থেকে লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রায় চলে এসেছে। এখন তা শেষ পর্যায়ে। দ্রুতই তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা যাবে। এই কাজ করা হবে দ্রুত সময়ে যাতে লিখিতর ফল দেওয়া যায়। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রায় সাত মাস আগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জন নিয়োগ পাবেন। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ হওয়ার পর তা আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দ্বিতীয় পরীক্ষকদের কাছে পাঠিয়েছিলাম। এগুলো দ্বিতীয় পরীক্ষক দেখা শেষ করেছেন প্রায়। শিগগিরই তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাবে এই খাতা এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখা শেষ করার তাগিদ দেওয়া হবে।’
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা ২৩ জানুয়ারি শুরু হয়, শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা এ বছরের ২৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে, চলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।