প্রাথমিকের মহাপরিচালকের অপসারণের দাবিতে ১৪ দিন ধরে আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুস সামাদের পদত্যাগের দাবিতে ১৪ দিন ধরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অধিদপ্তরের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ২৭ আগস্ট থেকে কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। আজ সোমবার ১৪তম দিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। মহাপরিচালক পদত্যাগ না করলে আগামী বুধবার বৃহত্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, ১৪ দিন ধরে মহাপরিচালক দপ্তরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ফলে অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। তারপরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে অধিদপ্তরের এই আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষার মাঠপর্যায়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পিটিআই, বিভাগীয় উপপরিচালকের দপ্তরে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, গত জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মো. আবদুস সামাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অধিদপ্তরের সম্মানহানি হচ্ছে। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্থায়ী পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২ জন পরিচালক, ৩ জন উপপরিচালকসহ ২০ জন কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেছেন। মহাপরিচালক মো. আবদুস সামাদের কক্ষে পরিচালক পদমর্যাদার নিচের কোনো কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারেন না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের ৯টি পদের মধ্যে ৭টিতেই বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রেষণে পদায়িত। তিনি প্রশাসন ক্যাডারের এসব কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার স্থায়ী ও নিজস্ব পদধারী কর্মকর্তাদের নিপীড়ন করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি তাঁর মহাপরিচালকের পদ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে তাঁর ধারণা একেবারেই কম। প্রাথমিক শিক্ষার মহাপরিচালকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করে তাঁর পরিবর্তে একজন শিক্ষাবান্ধব ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে পদায়নের দাবি জানানো হয়।