বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)

৪৭তম বিসিএসের আবেদন যে কারণে স্থগিত হলো

৪৭তম বিসিএসে অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে স্থগিতের কারণ নিয়ে কোনো নেতিবাচক শঙ্কা নেই। এ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার অনলাইন আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। এটিতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। চাকরিপ্রার্থীদের ভালোর জন্যই এটি করা হয়েছে। সরকার চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দিলেও এখনো এর প্রজ্ঞাপন হয়নি। এই প্রজ্ঞাপন হলেই ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের কার্যক্রম শুরু হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন আবেদন ফি আছে ৭০০ টাকা।

ফি কমানোর ঘোষণা দিলেও প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় পিএসসি ফি কমিয়ে রাখতে পারছে না। আবার বর্তমান ফিতে আবেদন চালু রাখলেও পরে টাকা ফেরতে জটিলতা আছে। এ ছাড়া ফি যেহেতু টেলিটক সংগ্রহ করে, তারা ফি কমের প্রজ্ঞাপন ছাড়া কোনো কাজ করতে পারবে না। সব মিলে প্রজ্ঞাপন হলেই আবেদন শুরু করা যাবে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। পরে আবেদনের তারিখ জানানো হবে।  

পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে গত সোমবার বলা হয়েছে, ‘৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪-এর অনলাইন আবেদন ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু এবং ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। অনলাইনে আবেদন শুরু এবং শেষ হওয়ার সময় ও তারিখ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অনুমোদনক্রমে শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এর আগে প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে। এই বিসিএসে আবেদনের জন্য ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সব ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

৪৭তম বিসিএসে প্রশাসন-পুলিশ-শিক্ষা-স্বাস্থ্য কত পদ

৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার পদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে নেওয়া হবে ২০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, কৃষি ক্যাডারে ১৬৮, স্বাস্থ্য ক্যাডারে (সহকারী সার্জনে ১৩৩১ ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০) ১৩৬১ জন। কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারে পদ ১ হাজার ৮৮৩টি, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সাধারণ কলেজগুলোর জন্য প্রভাষকের পদ ৯২৯টি, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর জন্য প্রভাষকের পদ ৯টি, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার জন্য প্রভাষকের পদ ২৭টি, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ইনস্ট্রাক্টরের পদ ১২টি। নন-ক্যাডারে পদের মধ্যে নবম গ্রেডের পদ ৪১টি, দশম গ্রেডের পদ ১৫৪টি, ১২তম গ্রেডের পদ ৬টি।