চলমান ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষার বোর্ডের কোনো সদস্য অসুস্থ হলেও যাতে বোর্ডের কার্যক্রম চলমান থাকে, সে জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পিএসসি।
১২টি বোর্ড চলমান। কোনো সদস্য অসুস্থ হলেও যাতে কার্যক্রম থেমে না যায়, সে জন্য আমি নিজেও প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে আমিও বোর্ডের কার্যক্রমে অংশ নেব। লক্ষ্য বিরতিহীনভাবে ভাইভা কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত ফল দেওয়া।সোহরাব হোসাইন, পিএসসি চেয়ারম্যান
৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন অংশ নিচ্ছেন ১৮০ প্রার্থী। এ পরীক্ষা চলাকালে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি। কমিশনের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
পিএসসি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থীকে উপস্থিত হতে হবে। এ পরীক্ষা কোনোভাবেই পেছানো যাবে না। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে প্রার্থীকে কমিশন চত্বরে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ক্যানটিনেও দেখা করা যাবে না। পরীক্ষার দিন প্রার্থী কোনোভাবেই মুঠোফোন বা কোনো যন্ত্র নিয়ে কমিশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিলিমিনারির সময় দেওয়া ছবিসংবলিত প্রবেশপত্র নিয়ে আসার বিষয়েও বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে পিএসসি।
৪৩তম বিসিএসের ভাইভা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১২টি বোর্ড চলমান। কোনো সদস্য অসুস্থ হলেও যাতে কার্যক্রম থেমে না যায়, সে জন্য আমি নিজেও প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে আমিও বোর্ডের কার্যক্রমে অংশ নেব। এ ছাড়া বোর্ডের কাজ সঠিকভাবে চালানোর জন্য আমরা বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। লক্ষ্য বিরতিহীনভাবে ভাইভা কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত ফল দেওয়া।’
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হতো। কিন্তু ১ ও ২ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর রোববার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।