নিয়োগ পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজ কার্যত বন্ধ রেখেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা কার্যক্রম বন্ধ, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় খাতা দেখায় গতি নেই ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা এ মাসে হওয়ার কথা থাকলেও অনিশ্চিত। সব মিলিয়ে একধরনের স্থবিরতা দেখা গেছে পিএসসিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে দেশে যে পরিস্থিতি ছিল, তা এখন কেটে গেছে। ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন দ্রুতই গতি ফিরবে পিএসসিতে।
পিএসসির একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পিএসসি নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করেছিল। তখন ক্যাডার, নন–ক্যাডার ও বিভাগীয় নানা পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেগুলো আবার কীভাবে চালু করা যায়, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলে এটি ঠিক করা হতে পারে। তবে পিএসসি একেবারেই স্থবির হয়নি। বিভাগীয় নানা কার্যক্রম চলছে। কেবল নিয়োগ পরীক্ষা ও বিভাগীয় পরীক্ষাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করেছে পিএসসি। আন্দোলনের সময় এক বিশেষ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্থগিত হওয়া মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসনে ২৫০ জন, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।