সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আগের মতো একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ আজ সোমবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের নিজেদেরই পরীক্ষা নিতে বলেছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, আমরা নিজেরা ব্যবস্থাপনায় থাকব, আর আগের মতো কারিগরি দিকটা দেখবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আমরা বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবার পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা নিতে পারব।’
বাকি দুই ধাপের পরীক্ষা কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রথম ধাপের পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে নিতে পারলে বাকি দুই ধাপের পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নিতে পারব।’
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই।
নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছিল, একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ কারণে ফলাফল প্রকাশও পিছিয়ে যায়। অনেকে আবার উত্তীর্ণ হয়েও যোগদান করেন না। ফলাফল প্রকাশের আগেই তাঁদের হয়তো অন্য কোথাও চাকরি হয়ে যায়। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রার্থীদের সুবিধার জন্য বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।