বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)

৪৫তম বিসিএসে সাধারণ ও উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলা পরীক্ষা দুই দিন

৪৫তম বিসিএসের বাংলা লিখিত পরীক্ষায় এবার একটি পরিবর্তন এনেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সাধারণ ও উভয় ক্যাডারে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের দুই দিন বাংলা পরীক্ষায় বসতে হবে। আর যাঁরা শুধু কারিগরি ক্যাডারে আবেদন করেছেন, তাঁদের শুধু একদিন পরীক্ষা দিতে হবে।

পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পিএসসির এই কর্মকর্তা বলেন, এত দিন চাকরিপ্রার্থীরা সুযোগের অপব্যবহার করতেন, তাই পিএসসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক প্রার্থী উভয় ক্যাডারে আবেদন করে চার ঘণ্টায় শুধু নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতেন।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে পিএসসির এই কর্মকর্তা বলেন, আগের বিসিএসগুলোয় কারিগরি বা পেশাগত এবং উভয় ক্যাডারে প্রার্থীদের ৪ ঘণ্টায় ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। কিন্তু অনেক প্রার্থী এই সুযোগের অপব্যবহার করতেন। যেমন কেউ উভয় ক্যাডারের জন্য আবেদন করে ৪ ঘণ্টায় বসে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতেন। অর্থাৎ ওই প্রার্থী পেশাগত ক্যাডারের, তিনি হয়তো ইংরেজি বা সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি উভয় ক্যাডারে আবেদন করে শুধু নিজের বিষয়ের পরীক্ষা দিতেন। এতে অন্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হতেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সুযোগের অপব্যবহার করে কেউ কেউ ৪ ঘণ্টায় দিতেন ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। এতে ওসব প্রার্থীর কিছু নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এখন প্রার্থীরা আর সেই সুযোগ পাবেন না।

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার দিচ্ছন প্রার্থীরা

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রের জন্য যে রুটিন প্রকাশ করেছে, সে অনুসারে প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সাধারণ ও উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের দুই দিন বাংলা লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে।

অনেক প্রার্থী ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার রুটিন নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন। বিষয়টি জানানো হলে পিএসসি থেকে বলা হয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়ের ব্যাখ্যা পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার রুটিন অনুসারে টেকনিক্যাল ক্যাডার ও উভয় ক্যাডারের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে ২৭ নভেম্বর। সাধারণ ক্যাডার ও উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা হবে ২৮ নভেম্বর। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন।