৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে নিয়োগের সুপারিশ দ্রুতই বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ সোমবার দুপুরে পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সম্ভব হলে এ সপ্তাহেই এ নিয়োগের সুপারিশ করা হতে পারে। এই নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুতই শেষ করতে পিএসসির একাধিক কর্মকর্তা দলগতভাবে কাজ করছেন বলে জানায় ওই সূত্র।
৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে নিয়োগের অগ্রগতি জানতে চাইলে পিএসসি সূত্রটি প্রথম আলোকে জানায়, নিয়োগের সুপারিশ শেষের আগে খুব বেশি কাজ বাকি নেই। চূড়ান্ত বাছাই কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীর যোগ্যতার সঙ্গে নিয়োগে সুপারিশের পদ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কেউ যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন, সেটি বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই ৪০তম বিসিএসের নন–ক্যাডারপ্রত্যাশীরা ভালো সংবাদ পাবেন। এ কার্যক্রম শেষ হলেই ৪১তম বিসিএসের নন–ক্যাডার নিয়োগের কার্যক্রমে হাত দেওয়া হবে বলে জানায় ওই সূত্র।
জানতে চাইলে পিএসসি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, নন-ক্যাডারের চাকরি পেতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পছন্দের পদ নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছিল পিএসসি। এতে আবেদন জমা পড়েছে ছয় হাজারের কিছু বেশি। প্রতিটি আবেদন যাচাই করা হবে।
৪০তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি—এমন প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা নন-ক্যাডার পদের চাকরিতে আগ্রহী, তাঁদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন চায় পিএসসি। প্রথম দফায় আবেদন শেষ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর ১৫৬টি পদে নিয়োগে জটিলতা দেখা দিলে তা বাদ রেখে আবার আবেদন চায় পিএসসি। সেটি শেষ হয় ৭ সেপ্টেম্বর। পিএসসির এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি—এমন ৮ হাজার ১৬৬ প্রার্থীর মধ্যে যাঁরা ৯ম, ১০ম, ১১তম ও ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে চান, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর ১৫৬টি পদে পছন্দক্রম চায়নি পিএসসি।
পিএসসি জানায়, টেলিটক বা পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নন-ক্যাডার পদের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা না দিলে নন-ক্যাডার পদের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে বিবেচনা করা হবে না। এর আগে গত ২-১৬ জুন পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের পছন্দক্রম চাওয়া হয়। কিন্তু এলজিইডির ১৫৬টি পদের জটিলতায় আবেদনপ্রক্রিয়া আটকে যায়।
পিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৪০তম বিসিএসে ৪ হাজার ৪৭৮টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল। এর মধ্যে ১৫৬টি পদে এলজিইডিতে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ১৫৬টি পদ প্রত্যাহার চেয়ে পিএসসির কাছে আবেদন করে।
তখন এলজিইডিতে সুপারিশ পাওয়া ২২ জন এলজিইডির ১৫৬টি পদ প্রত্যাহার চেয়ে পিএসসির কাছে করা আবেদন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই আবেদন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। ফলে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদের সবার নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে যায়। তাই ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের আবার পছন্দের পদে আবেদন করতে হচ্ছে।