বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনে (পেট্রোবাংলা) ১৩তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন পাঁচজন। পেট্রোবাংলার এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে পেট্রোবাংলার অধীন কোম্পানিগুলোতে ১৩তম গ্রেডের অনেক কর্মচারী পদোন্নতি নিতে চান না। পদোন্নতি হলে বিভিন্ন ধরনের ভাতা কমে যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পেট্রোবাংলার জুনিয়র সিলেকশন কমিটির মূল্যায়ন ও সুপারিশের আলোকে পেট্রোবাংলার গ্রেড-১৩–এর ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকার বেতন স্কেলভুক্ত অফিস সহকারী/ কম্পিউটার অপারেটর, ক্রয় সহকারী, সাঁটলিপিকার, ভান্ডার সহকারী ও নিরাপত্তা সহকারী পদধারী কর্মচারীদেরকে গ্রেড-৯–এর ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকার বেতন স্কেলে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বেগম খন্দকার সাবিউন নাহার, মো. সেলিম, মো. আবু তাহের তালুকদার, বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন ও মো. গিয়াস উদ্দিন।
বেগম খন্দকার সাবিউন নাহার পেট্রোবাংলায় আগে অফিস সহকারী/ কম্পিউটার অপারেটর পদে ছিলেন, মো. সেলিম ছিলেন ক্রয় সহকারী পদে, মো. আবু তাহের তালুকদার ছিলেন সাঁটলিপিকার পদে, বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন ছিলেন ভান্ডার সহকারী পদে এবং মো. গিয়াস উদ্দিন ছিলেন নিরাপত্তা সহকারী পদে।
পেট্রোবাংলার অধীন কোম্পানিগুলোতে ১৩তম গ্রেডের অনেক কর্মচারী পদোন্নতি নিতে চান না। কারণ, নবম গ্রেডে পদোন্নতি হলে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের ভাতা কমে যায়।
১৩তম গ্রেডটি তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত এবং নবম গ্রেডকে প্রথম শ্রেণি ধরা হয়। সরকারি চাকরিতে ২০১৫ সালে গ্রেড পদ্ধতি চালু হলে শ্রেণি বিলুপ্ত হয়।
পদোন্নতির বিষয়ে জানতে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেনের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
তবে পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ১৯৮৮ সালের চাকরির বিধিমালা অনুসারে এসব প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যেহেতু দশম গ্রেড নেই তাই সরাসরি ১৩তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতির নিয়ম রয়েছে। এর আগেও অনেকে এভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যাঁরা পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের আর চার-পাঁচ মাস চাকরি আছে, এরপর তাঁরা অবসরে যাবেন। পেট্রোবাংলার অধীন কোম্পানিগুলোতে আমরা দেখেছি, ১৩তম গ্রেডের অনেক কর্মচারী পদোন্নতি নিতে চান না। কারণ, নবম গ্রেডে পদোন্নতি হলে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের ভাতা কমে যায়। তাই চাকরির শেষ সময়ে এসে অনেকে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন।