৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সর্বোচ্চ সুপারিশ প্রাথমিকে

এবার প্রথমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবার ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে ক্যাডার পদের সঙ্গে নন-ক্যাডার পদের ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নন–ক্যাডারে নবম, দশম ও ১২তম গ্রেডে মোট ৬৪২ জনকে বিভিন্ন পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

নন-ক্যাডারে ৬৪২ জনের সর্বোচ্চ ২৭৪ জনকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি ১২তম গ্রেডের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৮টি পদে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বাংলা, জীববিজ্ঞান, ভূগোল ও ধর্মের সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা পদটি দশম গ্রেডের।
৪৩তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও ক্যাডারের শূন্য পদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁদের মধ্য হতে মেধা ও নিয়োগ যোগ্যতা অনুযায়ী ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩’–এর বিধান অনুসারে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে নবম, দশম ও ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে এসব প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

তবে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নন-ক্যাডারে মোট ৬৪৬টি পদে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। ফাঁকা রয়েছে নবম গ্রেডের ৫৭টি এবং দশম গ্রেডের ৫৮৯টি পদ।

সাময়িকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে কোনো প্রার্থী আবেদনপত্রে জ্ঞাতসারে কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন বা টেম্পারিং বা কোনো জাল সার্টিফিকেট জমা বা বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোনো অংশ বা প্রবেশপত্র টেম্পারিং বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করলে বা কোনো গুরুতর অসম্পূর্ণতা ধরা পড়লে বিজ্ঞাপনের শর্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবে। এ ছাড়া এসব অপরাধে জড়িত প্রার্থীকে ক্ষেত্র বিশেষে ফৌজদারি আইনে সোপর্দ করা হবে। এমনকি প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগের পরও এরূপ কোনো তথ্য প্রকাশ ও তা প্রমাণ হলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।