মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন তিন অধিদপ্তরের অডিটররা অডিটর পদে দুই ধরনের বেতন–বৈষম্য নিরসন ও দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে সিএজি কার্যালয়ের সামনে ৩০০ থেকে ৪০০ অডিটর উপস্থিত হয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সারা দেশে সব সিএজি কার্যালয়ের সামনে আজ থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তাঁরা।
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ), কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক—এর চার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন ৬ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৬১ জনকে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যাঁরা রিট মামলার পক্ষভুক্ত হয়েছিলেন, শুঁধু তাদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়। বাকিরা এখনো ১১তম গ্রেডে বেতন পান।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রার্থীরা জানান, আদালত অডিটর পদটিকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার রায় দিয়েছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৮ অনুসারে সুপ্রীমকোর্ট কোনো বিষয়ে রায় দিলে (রীট পিটিশন, আপীল এবং রিভিউ সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া শেষে) অনুরূপ ক্ষেত্রে উক্ত রায় বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সিএজি কার্যালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোর অডিটর পদের বেতন গ্রেড ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখনো সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই এই রায় বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অডিটর আহমেদুর রহমান ডালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের একই অডিটর পদে দুটি গ্রেড। একটি ১১তম গ্রেড আর মামলাকারী ৬১ জনকে শুধু দশম গ্রেডে উন্নীত করা চরম বৈষম্য। বৈষম্য দূর করার জন্য যে চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠির প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে দশম গ্রেডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বাবস্থাপনা বিভাগ সেটি বাস্তবায়ন করছে না। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন চাই।’