দেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গত ১৪ বছরে ২২ হাজার ৬০৮ চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। সরকার বলছে, ফলে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। একই সময়ে নার্স নিয়োগ হয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ১ হাজার ৫১৮ জন, ২০১০ সালে ৮০৩, ২০১১ সালে ২১২, ২০১২ সালে ৯২৮, ২০১৩ সালে ৬০৮, ২০১৪ সালে ৬ হাজার ৩২৫, ২০১৬ সালে ২২০, ২০১৭ সালে ৪৪৪, ২০১৮ সালে ১৮২, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ১০০, ২০২০ সালে ২ হাজার, ২০২১ সালে ২৮১ এবং ২০২২ সালে ৪ হাজার ৭৭ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম বলেন, সরকার গত তিন মেয়াদে (২০০৯ থেকে ২০২২ সাল) ১৪ বছরে ২২ হাজার ৬০৮ চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের যে সংকট ছিল, সেই সংকট অনেকটাই কেটে গেছে এবং চিকিৎসকেরা এখন গ্রামে থেকে মানুষের সেবা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গণমানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের সব মানুষ যাতে সহজেই চিকিৎসাসেবা পান, সে জন্য সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের ৩ মেয়াদে (২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত) ২২ হাজার ৬০৮ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সরকারি চিকিৎসক ছিল ১৮ হাজারের মতো। গত তিন মেয়াদে আরও ২২ হাজার ৬০৮ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে নার্স নিয়োগ হয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি।
সারা দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো তৈরির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিভাগে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। বার্ন ইউনিট হচ্ছে। নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, স্কিন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও চলবে এখানে। গত পাঁচ বছরে মেডিকেল কলেজেগুলোতে ১ হাজার ২০০ আসন বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।