২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন আফরোজা খানম। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ–সম্পর্কিত বিষয়ে জটিলতার কারণে তাঁর সুপারিশ কমিশন স্থগিত করে। পরে ওই মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তাঁর স্থগিত ঘোষিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কমিশন গ্রহণ করে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন আফরোজা খানম।
পিএসসি গতকাল মঙ্গলবার আফরোজা খানমকে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার্থী আফরোজা খানমের (রোল নম্বর: ০২৯৭৭৪) বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ–সম্পর্কিত বিষয়ে জটিলতা থাকায় তাঁর সুপারিশ কমিশন কর্তৃক স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আফরোজা খানমের দাখিলকৃত তাঁর বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী স্থগিত ঘোষিত ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কমিশন গ্রহণ করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক (ইতিহাস) পদে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থীর যোগ্যতার ঘাটতি ধরা পড়লে, দুর্নীতি, অসত্য তথ্য প্রদান বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে বা কোনো গুরুতর ভুলত্রুটি ধরা পড়লে তাঁর সুপারিশ/মনোনয়ন বাতিল করা হবে। মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সি কর্তৃক প্রাক্–নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে।
৪ হাজার ২০৬টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দিতে ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ১ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ২৮ জুন এর ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ২৮ হাজার ৯১৭ প্রার্থী পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৮ হাজার ৬৯৩ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৩ সালের মে ও জুন মাসে।
৩৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর। প্রার্থী বাছাইয়ের বিভিন্ন ধাপ শেষে পদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৫২৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিল পিএসসি।