১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ের ২ হাজার ১০১ জন, স্কুল ও সমপর্যায়ের ১৯ হাজার ৯৫ জন এবং কলেজ ও সমপর্যায়ের ৫ হাজার ৪৬ জন।
গতকাল বুধবার রাত ১২টার পর এ ফল প্রকাশ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এস এম মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষার ফল ৩০ আগস্ট অপরাহ্ণে প্রকাশ করা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা নিবন্ধন পরীক্ষার রোল ও ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফল এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। এ ছাড়া উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের টেলিটক থেকে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফল জানানো হয়েছে।
রাত দুইটার দিকে হঠাৎ মোবাইলে এসএমএস আসার শব্দ বেজে ওঠে। মোবাইল খুলে দেখি শিক্ষক নিবন্ধনের ফল। এত রাতে ফল দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে যখন দেখি টেলিটক থেকে এসএমএস এসেছে, তখন সত্যি মনে হয়।হাফিজুর রহমান, পরীক্ষার্থী
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ২৫ শতাংশ। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
হাফিজুর রহমান নামের এক পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম। রাত দুইটার দিকে হঠাৎ মোবাইলে এসএমএস আসার শব্দ বেজে ওঠে। মোবাইল খুলে দেখি শিক্ষক নিবন্ধনের ফল। এত রাতে ফল দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে যখন দেখি টেলিটক থেকে এসএমএস এসেছে, তখন সত্যি মনে হয়। এরপর ওয়েবসাইটে ঢুকে চেক করার পর আরও নিশ্চিত হই যে সত্যি ফল প্রকাশিত হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীকালে খুদে বার্তার মাধ্যমে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ব্যবস্থাপনায় সপ্তদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের ঐচ্ছিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা গত ৫ মে এবং কলেজ পর্যায়ের ঐচ্ছিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ৬ মে অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুল-২ পর্যায়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৩৭৯ জন, স্কুল পর্যায়ে ৬২ হাজার ৮৬৪ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৭৩ হাজার ১৯৩ জনসহ মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন। তার মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১,০৪,৮২৫ জন।