৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে নিয়োগের অপেক্ষায় ২৫৫০ পদ

করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু থমকে গেলেও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের নানা কার্যক্রমে গতি আনার জন্য কাজ করছে। পিএসসির হাতে ৩৮ (নন-ক্যাডার নিয়োগ), ৪০, ৪১, ৪২তম বিসিএস। এসব বিসিএসের কোনটির অগ্রগতি কী? চাকরি প্রার্থীদের এসব বিসিএসের খবর জানাতে প্রথম আলো পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক আয়োজন করেছে। আজ পড়ুন ১ম পর্ব
ছবি: সংগৃহীত

৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগের অপেক্ষায় আছে প্রায় ২ হাজার ৫৫০ পদ। এসব পদই দ্বিতীয় শ্রেণির। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি বিশ্বস্ত সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডার থেকে এর আগে ১ হাজার ২০০ জনকে প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে সুপারিশ করা হয়। এখন প্রথম শ্রেণির পদ সেভাবে না থাকায় প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের সুপারিশ বন্ধ করেছে পিএসসি। এখন এই বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে প্রায় ২ হাজার ৫৫০ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। তবে কোন পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

৩৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও পদের স্বল্পতায় ৬ হাজার ১৭৩ জন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পাননি। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৫ হাজার ৩২ জন কমিশনে আবেদন করেন।

৩৮তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদের স্বল্পতায় ৬ হাজার ১৭৩ জন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পাননি। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য ৫ হাজার ৩২ জন কমিশনে আবেদন করেন। এই প্রার্থীদের বিসিএসের মেধাক্রম ও সংশ্লিষ্ট পদের নিয়োগবিধির ভিত্তিতে ২ দফায় ১ হাজার ২০০ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কমিশনের বিশেষ সভায় এসব নিয়োগের এ সুপারিশ করা হয়।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)

চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যাঁরা ক্যাডার পান না, তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে। বিসিএসে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে (যাঁরা ক্যাডার পাননি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার। ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে ২ হাজার ১২৯ প্রার্থীকে নিয়োগের বিষয় চূড়ান্ত করে। পিএসসির সুপারিশ করা তালিকা থেকে ৭৫ জন বাদ পড়েন। বিসিএসের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড হয়েছিল। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এই বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ ক্যাডার কর্মকর্তার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

প্রশাসন ক্যাডারের ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ হাজার ৫৪৬ জন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।