ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়ক পদে এক দিনেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টায় এ পদে লিখিত পরীক্ষা ও বিকেল ৪টায় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে রাত আটটার দিকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা ডিসি অফিসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি নোটিশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। নোটিশে ঢাকার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারী নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব আসফিয়া সিরাতের স্বাক্ষর রয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব প্রশাসনের অফিস সহায়কের ১১টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বিকেল চারটা থেকে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ১১ প্রার্থীকে অফিস সহায়কের ১১টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলো।
ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আসফিয়া সিরাত স্বাক্ষরিত আরেকটি নোটিশ থেকে জানা যায়, লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ৪৬ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শনিবার বিকেলেই ঢাকা জেলা প্রশাসকের অফিসকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারী নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব আসফিয়া সিরাত আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এক দিনে পরীক্ষা নিয়ে সে দিনই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এক দিনে পরীক্ষা ও নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আইনি কোনো বাধা নেই। পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো ভোগান্তিতে না পড়েন, এ জন্য আগেই আমরা প্রবেশপত্রে ঘোষণা দিয়েছিলাম যে এক দিনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এর আগে ২০১৮ সালেও এ পদে এক দিনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।’
ঢাকা ডিসি অফিসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত নোটিশের নিচে কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন যে তারা প্রবেশপত্র পাননি। প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসফিয়া সিরাত প্রথম আলোকে জানান, অফিস সহায়ক পদে আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত ছিল। যেমন, প্রার্থীকে ঢাকা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হবে। অনেকে সেসব যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ না করে আবেদন করেছিলেন। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি কিছু প্রার্থীর আবেদনপত্রে অসঙ্গতি খুঁজে পায়। যেসব আবেদনপত্রে অসঙ্গতি ছিল, তাঁদের প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁদের আবেদন করার যোগ্যতাই ছিল না।