বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) বাতিল পাঁচ কেন্দ্রের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হবে এ পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
১. চার কপি সত্যায়িত ছবি। ছবির পেছনে পরীক্ষার্থীর নাম ও রোল নম্বর লিখতে হবে।
২. একটি সাদা কাগজে পরীক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম ও পরীক্ষার নাম লিখতে হবে।
৩. প্রবেশপত্রের ফটোকপি।
এসব ডকুমেন্ট পিনআপ করে বার কাউন্সিলের রাজধানীর পরীবাগের অফিস (ইউনিট হাইটস, লেভেল-৪, ১১৭ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, ঢাকা) অফিস চলাকালে জমা দিতে হবে। একজন প্রার্থী একাধিক প্রার্থীর ডকুমেন্ট জমা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল জানিয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার দিনে এই পাঁচটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ কারণে ২৪ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই পাঁচ কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করে বার কাউন্সিল। আর চারটি কেন্দ্রের পরীক্ষা বহাল রাখা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ অ্যাডমিট কার্ড দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নতুন কোনো অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হবে না এবং কোনো প্রকার নতুন ফি জমা দিতে হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাস পরে বার কাউন্সিলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www.barcouncil.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তাঁরা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তবে দ্বিতীয়বারও অনুত্তীর্ণ হলে তাঁদের পুনরায় শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।