দ্বিতীয় পর্ব

অনিশ্চয়তায় ৪০তম বিসিএসের প্রার্থীরা

করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু থমকে গেলেও পিএসসি বিসিএসের নানা কার্যক্রমে গতি আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পিএসসির হাতে ৩৮ (নন-ক্যাডার নিয়োগ), ৪০, ৪১, ৪২তম বিসিএস। এসব বিসিএসের কোনটির অগ্রগতি কী? চাকরিপ্রার্থীদের এসব বিসিএসের খবর জানাতে প্রথম আলো ৫ পর্বের ধারাবাহিক আয়োজন করেছে। আজ পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব
ফাইল ছবি

৪০তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় পাস করা ১০ হাজার ৯৬৪ প্রার্থীর দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত করা হয়। এ পরীক্ষা কবে হবে, তা–ও জানেন না তাঁরা। তবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, চিকিৎসক নিয়োগের বিশেষ বিসিএস শেষ করার পর তাদের মূল কাজ হবে ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে। এ জন্য আমরা ঝুঁকি নিয়ে হলেও ৪২তম বিসিএসের ভাইভা নিচ্ছি। এটি শেষ করে আমরা ৪০তম বিসিএসের কাজ শুরু করব।’

৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ এক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের লিখিত পরীক্ষার ফল দেরিতে প্রকাশিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েও এখন করোনার জন্য থেমে আছে। সব মিলে একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি শুরু করা যায়, তাহলে আমাদের অপেক্ষার অবসান ঘটত ও নিয়োগের সময় কমে আসত। মৌখিক পরীক্ষার পরও চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়ার জন্য সময় লাগবে। গেজেট প্রকাশেও সময় লাগবে। সব মিলে কত দিনে এই বিসিএসের প্রার্থীরা চূড়ান্ত নিয়োগ পাবে, তা নিয়ে আমরা চরম হতাশায় দিন পার করছি। আশা করি পিএসসি আমাদের অবস্থা বিবেচনা করবে।’

৪০তম বিসিএস (সাধারণ ক্যাডার) ভাইভার সূচি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। তবে ৩০ মার্চের ১৮০ জনের পরীক্ষা পিছিয়ে ১৫ জুন নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৪০তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৪ হাজার ১৫০ জনের ভাইভা এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নেওয়ার কথা ছিল।

এ বছরের ২৭ জানুয়ারি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। ২০১৮ সালের আগস্টে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।

করোনা পরিস্থিতিতে ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে। এ জন্য আমরা ঝুঁকি নিয়ে হলেও ৪২তম বিসিএসের ভাইভা নিচ্ছি। এটি শেষ করে ৪০তম বিসিএসের কাজ শুরু করব।
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে প্রশ্নপত্র নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করছেন একদল পরীক্ষার্থী। রংপুর জিলা স্কুল

৪০তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। এতে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।