সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক দিনের বিজ্ঞপ্তিতে দুটি বিসিএসের পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এই দুই বিসিএস হচ্ছে ৪৪ ও ৪৬তম বিসিএস। ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে আর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। কবে শুরু হবে, সে কথাও বলা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, একধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। সরকার থেকে দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছে পিএসসি। সেটি পেলেই পিএসসির কর্মকাণ্ড স্বাভাভিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। ২৮ আগস্ট এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ পরীক্ষার সময়সূচিও প্রকাশ করেছিল পিএসসি। এ বিষয়ে গতকাল রোববার পিএসসি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ আগস্ট ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত হলো। তারিখ পরে জানানো হবে। আগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৮ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসনবিন্যাস ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থীই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।
আবার স্থগিত হলো ৪৪তম বিসিএসের পরীক্ষা। গতকাল রোববার সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। অনিবার্য কারণে এই পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানানো হয়েছে।
অথচ পিএসসির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সম্প্রতি বলা হয়েছিল, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ জন করে প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হবে। শেষ দিনে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষাটি শুরু না হতেই স্থগিত করা হলো।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।