প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো
প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

৪৬তম বিসিএস প্রিলি, পরীক্ষাকক্ষে যা যা করণীয়

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহূর্তে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন।

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে মোট ২০০টি এমসিকিউভিত্তিক প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যায়।

বিসিএসের তিনটি ধাপের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে প্রিলিমিনারি। এ ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। প্রিলির প্রশ্নপদ্ধতি এমসিকিউভিত্তিক হওয়ায় সঠিক উত্তর বের করতে সংশয়ের সৃষ্টি হয়। ভুল হলেই নেগেটিভ মার্কিংয়ের শঙ্কা থাকে। আগের বিসিএসগুলোয় প্রিলিতে কাটমার্ক কখনোই ১২৫ অতিক্রম করেনি। তাই বলা যায়, মোটামুটি ১২৫ থেকে ১৩০ নম্বর পেলেই প্রিলিতে পাস করার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো—

*প্রিলিমিনারিতে ভালো করতে হলে আগে প্রচুর মডেল টেস্ট দিতে হবে। মডেল টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে হবে এবং দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করতে হবে। এখন নতুন কিছু না পড়ে কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রিভিশন দিতে হবে।

*পরীক্ষার আগের দিন ইংরেজি সাহিত্য, গণিতের সূত্রাবলি, সংবিধান কিংবা নিজের কোনো নোট করা থাকলে তা একবার দেখে যেতে পারেন। শেষ সময়ে সব পড়তে গিয়ে নিজের ওপর কোনো চাপ দেওয়া যাবে না। নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে। পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া জরুরি। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাথা ঠান্ডা থাকলে দ্রুত ও নির্ভুল উত্তর করা সহজ হবে।

*পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১২০ মিনিট সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রথমে বাংলা বা ইংরেজি দিয়ে শুরু করতে পারেন। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা সব শেষে উত্তর করা উচিত। ২০০টি এমসিকিউয়ের মধ্যে যেগুলো নিশ্চিত পারেন, সেগুলোর বৃত্ত আগে ভরাট করবেন। যেসব প্রশ্নের দুটি অপশনের মধ্যে সংশয় হবে, সেগুলো কিছু সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে উত্তর করবেন। যদি কোনো প্রশ্নের ৪টি অপশনের ৩টি বা ৪টি অপশনই আপনার কাছে অস্পষ্ট থাকে, তাহলে সে প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করা যাবে না। কারণ, ভুলের সংখ্যা যত কমানো যাবে, ততই প্রিলিমিনারি পাসের সম্ভাবনা বাড়বে। যাঁদের যে বিষয়ে দখল ভালো, সে বিষয়ে বেশি নম্বর ওঠানোর চেষ্টা করতে হবে।

*প্রতিটি প্রশ্ন খুব মনোযোগসহকারে পড়তে হবে। প্রশ্ন ভালোভাবে না বুঝে উত্তর করলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ২০০টি এমসিকিউয়ের ৮০০টি অপশন এই দুই ঘণ্টা সময়ে পড়ে বুঝতে হবে এবং বৃত্ত ভরাট করতে হবে। তাই যথাসম্ভব দ্রুত প্রশ্ন পড়তে হবে। তবে যেসব প্রশ্ন একেবারেই আপনার জানার বাইরে, সেগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন। বৃত্ত ভরাটের সময় ক, খ, গ, ঘ অপশন সতর্কতার সঙ্গে ভরাট করতে হবে। ওএমআর শিটে কোনো ধরনের কাটাকাটি করার সুযোগ নেই। গণিতের খসড়া প্রশ্নপত্রে করতে পারবেন।

*পরীক্ষাকেন্দ্রে যথাসময়ে উপস্থিত হতে হবে। পিএসসির সব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। অনুমোদিত নয়, এমন কোনো সামগ্রী সঙ্গে নেওয়া যাবে না। প্রবেশপত্রসহ আনুষঙ্গিক অনুমোদিত জিনিস সঙ্গে রাখতে হবে।