৪৫তম বিসিএসের আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, অলংকার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে যদি এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
১. পরীক্ষার হলে বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, (শুধু গাণিতিক যুক্তি বিষয়ের পরীক্ষায় সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না) সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
২. পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হবে। প্রার্থীদের খুদে বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৪. পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের কানের ওপর কোনো আবরণ রাখা যাবে না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩–এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ করলে বা সহায়তা করলে ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।