৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে, চলবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৮৪১ প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। প্রতিদিন ১৮০ জনের ভাইভা নিচ্ছে পিএসসি। প্রার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য আগে যাঁরা মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রথম আলোয় প্রকাশ করা হচ্ছে। নিয়মিত আয়োজনে আজ সপ্তম পর্বে মৌখিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ৪১তম বিসিএসে কর ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরা।
মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ৪১তম বিসিএসে অংশ নেন। প্রথম পছন্দ ছিল প্রশাসন ক্যাডার। গত ৬ জুন মৌখিক পরীক্ষা দেন তিনি। ভাইভার শুরুতেই তাঁকে স্নাতকে পড়া বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এরপর অন্যান্য বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
মৌখিক পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের পর মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরার কাছে জানতে চাওয়া হয় বীজবিহীন ফলকে কী বলা হয়? তিনি বলেন, পার্থেনোকার্পিক ফল। সম্পূরক প্রশ্ন হিসেবে জিজ্ঞেস করা হয় তরমুজকে পার্থেনোকার্পিক করার প্রক্রিয়া কী? এর উত্তর দিতে না পারায় বোর্ডকে দুঃখিত বলেন।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কী বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং সে সম্পর্কে জানতে যাওয়া হয়। এরপর জিজ্ঞাসা করা হয়, বঙ্গবন্ধু একটি কোর্ট পড়তেন, সেটিকে কী বলে? মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরা বলেন, মুজিব কোট। মুজিব কোর্টে কয়টি বোতাম থাকে, জানতে চাওয়া হয়। ছয়টি বোতাম—উত্তর দেওয়ার পর জিজ্ঞেস করা হয়, ছয়টি বোতাম কী নির্দেশ করে? তিনি বলেন, ছয় দফা। দফাগুলো জানতে চাওয়া হয়। তিনটি দফা বলতেই স্যার তাঁকে থামিয়ে দেন।
মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরার কাছে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার নাম জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি ড. সেতারা বেগমের নাম বলেন। তিনি কত নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? উত্তরে বলেন, ২ নম্বর সেক্টর। এরপর আরও কয়েক নারী মুক্তিযোদ্ধার নাম জানতে চাওয়া হয়।
ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ কততম এবং বাংলাদেশের চেয়ে কোন দেশ ধান উৎপাদনে এগিয়ে, এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়। মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরা বলেন, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয়। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে কোনো দেশ এগিয়ে, সেটির উত্তর দিতে না পারায় ‘সরি’ বলেন।
মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরাকে জিজ্ঞেস করা হয়, মাশা আমিনির নাম শুনেছেন কি না। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, শুনেছি। তিনি ইরানের নাগরিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে হিজাব আন্দোলন শুরু হয়।’ লিওনেল মেসি বর্তমানে কোন ক্লাবে খেলেন, সেটি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। সেদিনের পত্রিকার খেলার পাতায় এ বিষয় নিয়ে সংবাদ ছিল।
বাংলা সাহিত্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, কোনো কবিতা পড়েছেন? মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরা সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘ছাড়পত্র’ কবিতার কথা বলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো বই পড়েছেন কি না, জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘চোখের বালি’ পড়েছি। রবীন্দ্রনাথের কোন বইটি কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পারেননি। এরপর মোছা. ফাতেমা তুজ্জোহরার নিজ জেলা পাবনার সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তির নাম জানতে চাওয়া হয়।