৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার হলে করণীয়

প্রতীকী ছবি: আশরাফুল আলম

৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। হাতে সময় নেই বললেই চলে। শেষ সময়টা ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। তবে রাত জেগে পড়াশোনা করতে গিয়ে অসুস্থ হওয়া যাবে না। এ সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। প্রস্তুতি যেমনই হোক পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ, অনেকের ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে না পেরে পরীক্ষায় খারাপ করেন। পরীক্ষার হলে করণীয় নিয়ে কয়েকটি পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার হলে করণীয়

  • পরীক্ষার হল হলো আসল যুদ্ধক্ষেত্র। এখানেও একটা চমৎকার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। হলে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে যেন ১৩০ ডিগ্রি না হয়ে যায়। ভয় না পেলে হলে মাথা ঠান্ডা থাকবে।

  • পিএসসি অনুমোদন করে না, এমন জিনিসপত্র কোনো অবস্থাতেই হলে নেওয়া যাবে না। আর প্রবেশপত্রসহ আনুষঙ্গিক অনুমোদিত জিনিস সঙ্গে নিয়ে যাবেন।

  • আন্দাজে কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না। বৃত্ত ভরাটের সময় প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর ভালো করে খেয়াল করবেন। ১৭ নম্বর যেন ২৭-এ গিয়ে না পড়ে। অপশনের ক, খ, গ, ঘ—কোন ফরম্যাটে আছে, তা-ও খেয়াল রাখুন।

  • কতটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসবেন, তার কোনো টার্গেট থাকা যাবে না। এটি নির্ভর করবে আপনার জানার ওপর। মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়বেন। খেয়াল করবেন—‘হয়’ চেয়েছে নাকি ‘নয়’ চেয়েছে। যেমন নিচের কোনটি আগ্নেয়শিলা নয়? অনেকে এটি পড়েন—নিচের কোনটি আগ্নেয়শিলা হয়!

  • আশপাশের কোনো পরীক্ষার্থীর ওপর কোনো অবস্থাতেই নির্ভর করবেন না। যদিও সে সুযোগ হল পরিদর্শক দেবেন না। মনে রাখবেন, এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা।

  • প্রশ্নের সেট ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভালো করে খেয়াল করবেন এবং উত্তরপত্রে ভরাট করবেন মনে করে। হাজিরা খাতায় নিজের নাম ও ছবি দেখে স্বাক্ষর করবেন। প্রবেশপত্রে যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, হুবহু সেই স্বাক্ষর করবেন।

  • প্রশ্ন দ্রুত পড়তে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই বৃত্তও ভরাট করে ফেলতে হবে। প্রশ্নের সিরিয়াল অনুসারে ভরাট করে যাবেন। তবে গণিত ও মানসিক দক্ষতা অংশ পরে ভরাট করা ভালো।

  • যে প্রশ্ন আপনার সম্পূর্ণ অজানা, তা পুরোটা পড়ারই দরকার নেই। সময় বেঁচে যাবে। সময়জ্ঞান খুবই জরুরি বিষয়।

  • মেয়েদের কান অনাবৃত রাখবেন। এ বিষয় নিয়ে অযথা সময় যেন নষ্ট না হয়।

  • কক্ষ পরিদর্শক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পিএসসির কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে অযথা বিতর্কে যাবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি হবে।

  • সুশাসন ও নৈতিকতা এবং মানসিক দক্ষতার উত্তর করার সময় বেশি সতর্ক থাকবেন।

  • একাধিক উত্তর সঠিক হলে অপশনের প্রথমে যেটা, সেটা দিয়ে আসবেন। কোনো সঠিক উত্তর না থাকলে ওই প্রশ্ন রেখেই আসবেন। ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।

  • পুরোনো (ব্যবহৃত) মোটা কালো কালির বলপয়েন্ট কলম হলে তাড়াতাড়ি বৃত্ত ভরাট করা যায়।

  • কোনো অবস্থাতেই দেরি করে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন না। হাতে সময় নিয়ে রাস্তা ও ওই দিনের বাস্তবতা মাথায় রেখে রওনা দেবেন।

  • এমসিকিউ দাগানোর সময় প্রসেস অব এলিমিনেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। অর্থাৎ কোন অপশনটা বা অপশনগুলো উত্তর হবে না, সেভাবে এগোবেন চারটি অপশনের মধ্যে। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

  • নিজের নাম বড় হাতের অক্ষরে ইংরেজিতে লিখবেন। নিজ জেলার নামও ইংরেজিতে লিখবেন ওএমআর শিটে।


আশা করি, এসব বিষয়ে মেনে চলতে পারলে পরীক্ষার হল থেকে সন্তুষ্টি নিয়ে বের হতে পারবেন। সবার জন্য শুভকামনা।

  • শাহ মো. সজীব, প্রশাসন ক্যাডার (২য় স্থান), ৩৪তম বিসিএস