৪১তম বিসিএস ও ৪৩তম বিসিএসের নন–ক্যাডের বিষয়ে নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে আন্দোলন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল মঙ্গলবার কার্যত অনশনের ডাক দেন তাঁরা। পরে পিএসসি থেকে বলা হয়, তারা সভা কবরে আজ বুধবার। আন্দোলনকারীদের বার্তা জানিয়ে দেওয়া হবে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ে।
পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোনকারীদের থেকে বেশ কিছু দাবি করা হয়েছে। সেগুলো আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। তাই এর আগে আজ বুধবার পিএসসি একটি বিশেষ সভা ডেকেছে। সভার বিষয়বস্তু দ্রুতই সরকারের কাছে পাঠানো হবে।’
একজন চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগে কোনো সমস্যা হয়নি। অনেকে নন-ক্যাডার থেকে চাকরি পেয়েছেন। আগের বছরগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসি যে নিয়ম অনুসরণ করেছে, তাতে পিএসসি বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ম থেকে সরে এসে পিএসসি তরুণদের বেকারত্ব বাড়ানোর মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এই চাকরিপ্রার্থী। সে জন্য ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের পদ্ধতি বহাল চান তাঁরা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। এ পদ্ধতি বাতিল চান আন্দোলনকারীরা।