হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

বিচার বিভাগে সংস্কারের দাবিতে ‘ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্ম’ গঠন

বিচার বিভাগে সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ষষ্ঠ থেকে পঞ্চদশ ব্যাচের সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজ সমমর্যাদার বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্ম’ নামের একটি সংগঠন। গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) ২৩ জন সমন্বয়কের নাম ঘোষণার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি।

সমন্বয়কদের পক্ষে সহকারী জজ মোহাম্মদ আলী তালহার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিচার বিভাগকে সত্যিকারের স্বাধীন ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তরুণ বিচারকদের এ সংগঠনটি কাজ করবে। সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনমত তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করবে সংগঠনটি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা শুরুতেই জেলা আদালতে কর্মরত সব বিচারকের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে থাকা বিচারকদের কেউই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত নন। অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রে শুধু ঢাকায় কর্মরত বিচারকদের জন্য ‘নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার’ এবং পদাধিকারবলে ঢাকার জেলা জজের জন্য ‘সভাপতি’ পদটি সংরক্ষিত রাখা আছে। এটি অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অবিলম্বে সংশোধন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য বর্তমান কমিটির কাছে আমরা দাবি পেশ করছি। বিচার বিভাগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপনের পাশাপাশি নির্বাচিত অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান ও তৎপরতা পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’

সমন্বয়কদের মধ্যে সহকারী জজ মো. জিয়া উদ্দীন আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা মানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, যা কোনো পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাব বা চাপ থেকে মুক্ত। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত মামলাটি হলো ১৯৯৯ সালে দেওয়া মাসদার হোসেন মামলার রায়। এই রায়ের আলোকে বিচার বিভাগকে সংস্কার করে এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।