সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহযোগিতায় ফলাফল তৈরির কাজ চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ করছে। ইতিমধ্যে উত্তরপত্র স্ক্যানিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রার্থীদের উত্তরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে বুয়েট।
উত্তরপত্রে কী ধরনের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক প্রার্থী নিজে পরীক্ষার হলে উপস্থিত না হয়েও তাঁর স্বাক্ষর আরেকজন দিয়েছেন কি না, সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে সঠিকভাবে বৃত্ত পূরণ করেন না, সেটিও দেখা হচ্ছে। উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হলে বুয়েট আমাদের জানাবে, তখন আমরা বৈঠক করে ফল প্রকাশ করব।’
কবে ফল প্রকাশ করা হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, বুয়েট নিখুঁতভাবে উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করছে, এ জন্য সময় বেশি লাগছে। কবে ফল দেওয়া হবে, সেই তারিখ এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। ফলাফল নির্ভর করছে বুয়েটের উত্তরপত্র যাচাইয়ের শেষ যখন হবে, তার ওপর। বুয়েট যদি কয়েক দিনের মধ্যে উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করতে পারে, তাহলে আগামী সপ্তাহে ফল হতে পারে আবার দেরি হলে এরপরের সপ্তাহেও ফল হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে ফল হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোয় লিখিত পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বিভাগে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫৩৫টি।
রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের যেসব জেলায় পরীক্ষা হয়, সেগুলো হলো—রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগ ধরে ধরে দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।