৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছাতে পারে

প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো
প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলতি বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, তা পেছাতে পারে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলমান কয়েকটি বিসিএসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পিএসসি প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে সভা করে পিএসসি সদস্যদের মতামত নিয়ে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবে পিএসসি।

জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পিএসসি ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সময়ে ওই বিসিএসের নানা কার্যক্রম চলছে। এমন অবস্থায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়াতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ আছে। তাই এ পরীক্ষা পেছানোর প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে সদস্যদের নিয়ে সভাতে সবার মতামত নিয়ে সেটি করা হবে। সে জন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে পিএসসি এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, তাতে জানা যাবে পরীক্ষা পেছাবে কি না। তবে পেছানোর সম্ভাবনাই বেশি বলে জানান ওই সদস্য। এদিকে পিএসসি বলছে ৪৫তম বিসিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার প্রার্থী।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ওয়েবসাইটে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আবেদনের শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর ও শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।

ফাইল ছবি

ক্যাডার পদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনি নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন প্রার্থীরা।

৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে, নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।

এদিকে ৪৫তম বিসিএসের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি।

আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনি নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারছেন প্রার্থীরা। কিন্তু আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন আবেদনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করে পিএসসি।