অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শেফদের চাকরির সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বিশাল ভূখণ্ডের একটি দ্বীপরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া। এর অফিশিয়াল নাম ‘কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া’। ৭৬ লাখ ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৬০ লাখ। উন্নত জীবনমান আর উচ্চ আয়ের এ দেশটি সব সময় বিভিন্ন দেশের দক্ষ পেশাজীবীদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য।

অস্ট্রেলিয়ায় জনসংখ্যার অপ্রতুলতার কারণে সব সময় বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ পেশাজীবীর সংকট থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হসপিটালিটি খাত। বিশেষ করে করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে এই খাতে দক্ষ শেফের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ কারণে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে শেফ নিতে আগ্রহী।

অস্ট্রেলিয়ায় শেফ হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে স্কিল অ্যাসেসমেন্ট বা কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া। অস্ট্রেলিয়ার হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার মতো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেক শেফ বাংলাদেশে থাকলেও এত দিন বাংলাদেশি শেফরা সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। কারণ, আগে বাংলাদেশে স্কিল অ্যাসেসমেন্ট করার কোনো সুযোগ ছিল না। নেপালসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশি শেফদের স্কিল অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করতে হতো, যা ছিল কিছুটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।

সম্প্রতি করোনা মহামারিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেসমেন্ট বডি বাংলাদেশে ইএসআই গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশটিতে কাজ করতে আগ্রহী শেফদের দক্ষতা যাচাই বা স্কিল অ্যাসেসমেন্টের জন্য অনুমোদিত এজেন্সি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে, যা বাংলাদেশি শেফদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করার এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় শেফ হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে স্কিল অ্যাসেসমেন্ট বা কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া।

হোটেল বা রেস্তোরাঁয় শেফ হিসেবে তিন বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তি স্কিল অ্যাসেসমেন্ট করতে পারবেন। আর স্কিল অ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে আইইএলটিএসের কোনো প্রয়োজন নেই। তারপরও ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অনেক সময় আইইএলটিএসের বা পিটিই স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে।