সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে—এ গুঞ্জন কয়েক দিন ধরেই চলছিল। পাঁচজন নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও আপাতত চারজন নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গত বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে পিএসসির সদস্যসংখ্যা হলো ১৬। আগে থেকে ছিলেন ১২ জন আর সম্প্রতি যুক্ত হলেন ৪ জন। এই নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ার পর পিএসসির কাজের গতি কি বাড়বে—এ প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।
নতুন চার সদস্য নিয়োগের পর পিএসসি কাজের গতি কি বাড়বে—এমন প্রশ্ন করা হয় পিএসসির সাবেক এক চেয়ারম্যানকে। তিনি অবশ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন আইন অনুসারে ২০ জন সদস্য নিয়োগ দিতে পারবে সরকার। এখন ৪ জন নিয়োগ হলো আর আগের ছিলেন ১২ জন। যদি চেয়ারম্যানকে একজন সদস্য হিসেবে ধরা হয়, তাহলে ১৭ জন সদস্য বর্তমানে পিএসসিতে। এই ১৭ জনই বিসিএসের সব কার্যক্রম, যেমন ভাইভা নেওয়া, বিসিএসের কার্যক্রম সমন্বয় করা, ফল প্রকাশ বা খাতা দেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সমন্বয় করার কাজগুলো করতে পারবেন।
সাবেক ওই চেয়ারম্যান আরও বলেন, নতুন সদস্য নিয়োগ হওয়ায় ভাইভা নেওয়া সহজ হলো। আগের থেকে বেশি বোর্ড পরিচালনার ক্ষমতা পেল পিএসসি। এ ছাড়া অন্য সদস্যদের কাজের ভারও কিছুটা কমবে এই বাড়তি সদস্য নিয়োগ হওয়ায়। সব মিলে নতুন চার সদস্য যুক্ত হওয়ায় পিএসসির কাজের গতি বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক ওই চেয়ারম্যান।
চার সদস্য বৃদ্ধিতে পিএসসির কাজের গতি বাড়বে বলে মনে করেন পিএসসির সাবেক সদস্য হামিদুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পিএসসির কাজের পরিধি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। নানা ধরনের ক্যাডার-ননক্যাডার নিয়োগ, বিভাগীয় পরীক্ষাসহ নানা কাজে যুক্ত পিএসসি। যেহেতু সব কাজে সদস্যদের নেতৃত্ব দিতে হয়, তাই নতুন সদস্য নিয়োগ হওয়ায় পিএসসির কাজের গতি বেড়ে যাবে। এটি খুবই প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে সাবেক তিন সচিব ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক তিন সচিব হলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং সাবেক খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। আর পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
সংবিধান অনুসারে নতুন সদস্যদের মেয়াদ হবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৫ বছর। তবে বয়স ৬৫ বছর হলে এ মেয়াদও শেষ হবে।