৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের ফল আলাদা প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে চাকরিপ্রার্থীরা চারটি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে আছে—ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফল পৃথক সময়ে প্রকাশ করা, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসের মতো নন-ক্যাডার থেকে অধিকসংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করা, পূর্বতন বিসিএস থেকে ইতিমধ্যে সুপারিশ করা প্রার্থীদের সমপদে পুনরায় সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা জেনারেল এবং টেকনিক্যাল উভয় পদে সমতা বজায় রাখার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ‘প্রতিটি বিসিএসে নন-ক্যাডারে টেকনিক্যাল পদ বেশি আসে। প্রার্থীর অভাবে টেকনিক্যালের অনেক পদ ফেরতও যায়। অন্যদিকে জেনারেলের জন্য পদই আসে কম। ফলে তিন থেকে চার বছরের জার্নি শেষ করেও জেনারেল প্রার্থীদের খালি হাতে ফিরতে হয়। আমরা এ বিষয়ে পিএসসির সুনজর কামনা করছি।’
এর আগে গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) একই দাবি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফল একসঙ্গে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। এমন সিদ্ধান্তে প্রার্থীরা অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভুগছেন।’
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার পুরো কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে। দীর্ঘ এই সময় শেষে প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার আশায় আছেন। এ ছাড়া অনেকের চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে দেওয়া হয়, তাহলে অনেক চাকরিপ্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আমরা ফল আলাদাভাবে প্রকাশের দাবি করছি।’
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন। এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, শিক্ষায় ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি