ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে দেশটির সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ১৮০ দিন পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন গর্ভ ভাড়ার (সারোগেট) মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া নারী কর্মীরাও। দুই মা-ও টানা ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
১৯৭২ সালের সিভিল সার্ভিসেস (ছুটি) বিধিমালা সংশোধন করে দেশটির কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ ১৮ জুন এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সারোগেট মায়েদের ক্ষেত্রে শর্ত থাকবে, এ ধরনের নারীর জীবিত সন্তানের সংখ্যা দুইয়ের কম হতে হবে। সরকার সারোগেসির ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটিরও অনুমতি দিয়েছে।
সারোগেট মায়ের পাশাপাশি এ নিয়মে ওই সন্তানের বায়োলজিক্যাল মা-ও সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য এ ছুটি পাবেন। যদি সন্তানের অভিভাবক বাবাও সরকারি কর্মী হন, তাহলে তিনিও ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সন্তান জন্মের ৬ মাসের মধ্যে এই ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারবেন বাবা। তবে এ ক্ষেত্রেও শর্ত হচ্ছে, তাঁদের দুটির বেশি জীবিত সন্তান থাকা যাবে না। ১৮ জুন নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
যেসব দম্পতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মা-বাবা হতে পারেন না, তাঁরা অন্যজনের গর্ভ ভাড়া (সারোগেসি) নিয়ে সন্তানের জন্ম দেন। আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে অন্য নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করে কোনো দম্পতির সন্তান ধারণই হলো সারোগেসি। যে নারী গর্ভধারণের কাজটি করেন, অর্থাৎ যাঁর গর্ভ ভাড়া করা হয়, তাঁকে ‘সারোগেট মাদার’ বা ‘সারোগেট মা’ বলা হয়।
২০০২ সালে ভারতে সারোগেসি আইন করা হয়। কিন্তু ২০২২ সাল পর্যন্ত সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) বিধি পাস না হওয়া পর্যন্ত এটি অনিয়ন্ত্রিত ছিল।