প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘কোটা নিয়ে নাগরিক মত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তাঁরা।
‘অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও চাকরিপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় দিলারা চৌধুরী বলেন, নারীরা এখন বেশ এগিয়ে আছে। তাই তাঁদের ২০ শতাংশের বেশি কোটা দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। প্রাথমিকের শিক্ষকেরা এখন ভালো বেতন পান। তাঁদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, পোষ্য কোটায় রাজনীতিকদের আগ্রহ বেশি। এটা বাতিল করতে হবে।
আলোচনা সভায় অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বলেন, কম যোগ্য প্রার্থীরা কোটায় নিয়োগ যোগ্য প্রার্থীদের তাচ্ছিল্য করছে। এর একটি সমাধান হওয়া দরকার। জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে শিক্ষক নিয়োগে ৮০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলো হলো—প্রাথমিকের ফলাফল বাতিল করে এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা; কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা; শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করা; প্রতিবন্ধীদের কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকার পাশাপাশি নম্বর প্রকাশ করা।