বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসিসহ অন্যান্য সব চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অতি দ্রুত সময়ে কার্যকর করতে হবে। একটা চাকরি মানে একটা পরিবারের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ পথচলা। আজ মঙ্গলবার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিসের স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে একজন লেখেন, চাকরির ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে রাজনৈতিক পরিচয় জানা বন্ধ করতে হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সে যে দলেরই হোক চাকরি পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে, ধরা পড়লে এমন শাস্তি দিতে হবে যেন জীবনে দ্বিতীয়বার কেউ এটা করতে সাহস না পায়।
আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল আটকে আছে আজ ৪ মাস ধরে, যেখানে ১ম ও ২য় ধাপের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে অনেক আগেই, এখন তো দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দয়া করে আমাদের রেজাল্টের ব্যবস্থা করে দিন প্লিজ! অনেকেই বয়স শেষের পথে।’
একজন মন্তব্য করেন, উপ–সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের নিয়োগ ১২ বছর বন্ধ অনেক পদ খালি পড়ে আছে।
পিএসসিতে সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ আছে। এসব পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া। এসব পরীক্ষা স্থগিত করে অনিবার্য কারণ উল্লেখ করেছে পিএসসি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির একজন কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি নিজে থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর আগে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। এখন নির্দেশনা এলে এসব পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন সরকার আসার পর থেকে নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সেভাবে চলা শুরু করেনি। তবে সরকারের একটি নির্দেশনা এলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগ পরীক্ষাগুলো শুরু করা যাবে। এতে নিয়োগ জট কমবে।