৪১তম বিসিএসের মতো ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতাতেও নম্বরের পার্থক্য পেয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি সূত্র জানায়, খাতায় নম্বরের পার্থক্য থাকায় এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই এসব ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, পিএসসির নিয়ম অনুসারে প্রথম পরীক্ষক ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের দেখা খাতায় ২০ নম্বর বা অধিক নম্বরের পার্থক্য থাকলে খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়। ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল মার্চে প্রকাশ করার কথা ছিল। এ সময় লিখিত পরীক্ষায় কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। পরে আবার চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করার সময় বড় ধরনের ভুল ধরা পড়ে। কত খাতায় নম্বরের পার্থক্য, তা নির্দিষ্ট করে না বললেও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, নম্বরের পার্থক্য হওয়া খাতার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো। এটিও ৪১তম বিসিএসের পুনরাবৃত্তি বলে জানা গেছে। ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষকদের গাফিলতিতে প্রায় ১৫ হাজার খাতায় নম্বরের পার্থক্য ছিল।
লিখিত পরীক্ষায় নম্বরের পার্থক্য হলে আসলে কী সমস্যা হয়, জানতে চাইলে পিএসসি সূত্র প্রথম আলোকে জানান, প্রত্যেক পরীক্ষককে এই খাতা নিজে পিএসসিতে এসে ঠিক করে দিতে হয়। সেটি আবার তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। অনেক খাতার মধ্যে এসব খাতা খুঁজে বের করা একটি দুরূহ ব্যাপার। সময়সাপেক্ষ বটে।
৪৩তম বিসিএসের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে আর কত দিন লাগতে পারে, এমন প্রশ্নে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সমস্যা সমাধানে দ্রুতগতিতে কাজ করছে পিএসসি।
লিখিত পরীক্ষার খাতায় এই গরমিলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ৪৩তম বিসিএসের দুই প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছর ধরে লিখিত পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় আছি। প্রতি মাসেই শুনি, এ মাসে ফল হবে, ফল আর হয় না। ফলের বিষয়ে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতে পারি না। এ অবস্থা চাই না।’
গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।