বিসিএস

প্রকৌশলী-চিকিৎসকদের পেশাবদল

প্রকৌশলী ও চিকিৎসকদের অনেকেই নির্ধারিত ক্যাডার ছেড়ে প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্রে ঝুঁকছেন। কারণ, এই তিন ক্যাডারে সুযোগ-সুবিধা বেশি।

প্রকৌশলী ও চিকিৎসকদের অনেকেই এখন বিসিএসে তাঁদের জন্য নির্ধারিত কারিগরি পেশার ক্যাডার ছেড়ে প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারের চাকরির দিকে ঝুঁকছেন। সর্বশেষ পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই তিন ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ৯৮০ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৩৮৭ জন প্রকৌশলী ও চিকিৎসক। আগের বিসিএসগুলোতে এই প্রবণতা কম ছিল। নির্ধারিত ক্যাডারে পদোন্নতিতে ধীরগতি ও সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় বিসিএসে তাঁরা অনেকেই পেশা বদল করছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। পছন্দের তালিকা শীর্ষে থাকা এই তিন ক্যাডারে প্রকৌশলী ও চিকিৎসকদের যোগ দেওয়ার পক্ষে–বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বছর প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের ফলাফলে ১৪টি সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে শীর্ষ ৬টি ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা প্রার্থীরা।

প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র, কর, আবগারি ও শুল্ক এবং আনসার—এই ছয় ক্যাডারে যারা প্রথম হয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে পাস করা। সাধারণ ক্যাডারে চিকিৎসক ও কৃষিবিদদের সফলতার হারও বাড়ছে।

২০১৫ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনকাঠামো পরিবর্তনের পর থেকে বিসিএসে বেশি আগ্রহী দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের। এখন বিসিএসে ১৪টি সাধারণ ও ১২টি পেশাগত বা কারিগরিসহ সর্বমোট ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। সপ্তম বিসিএস থেকে ৩৪তম বিসিএসের ফলাফল পর্যালোচনা করে পাওয়া যায়, প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্রসহ সাধারণ ক্যাডারগুলোতে যেকোনো বিষয়ের স্নাতক বিশেষ করে কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বেশি আসতেন। তবে ৩৫তম বিসিএস (২০১৪ সাল) থেকে এ ধারার কিছুটা পরিবর্তন হতে থাকে। আকর্ষণীয় ক্যাডারগুলোতে ঝোঁকা শুরু করেন প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও কৃষিবিদেরা। এসব ক্যাডারে দ্রুত পদোন্নতি, গাড়ির সুবিধা, অতিরিক্ত ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ বেশি থাকায় আগ্রহ বাড়ছে বিশেষায়িত ডিগ্রিধারীদের।

৩৫ থেকে ৪০তম বিসিএসের মধ্যে পাঁচটির ফলাফল পর্যালোচনা করে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৩৫তম বিসিএসের শীর্ষ তিন ক্যাডারে (প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র) নিয়োগ পাওয়া ৪১০ জনের মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক ছিলেন ৫৭ জন।

৪০তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ৩৪২ জনের মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসক ১০২ জন। এর মধ্যে শুধু বুয়েট থেকেই এবার প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৫০ জন।

প্রকৌশলী ও চিকিৎসকেরা শীর্ষ তিন ক্যাডারে

৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) পাস করা শারমীন আরা বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মামুনুর রশিদ দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত। ৩৬তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করে চিকিৎসক সুবর্ণা শামীম এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।

প্রকৌশলী বা চিকিৎসকদের প্রশাসন, পুলিশ বা পররাষ্ট্রের মতো আকর্ষণীয় ক্যাডারে আসা বন্ধের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। তাঁরা মেধার পরিচয় দিয়েই এসব ক্যাডারে আসছেন। তাঁরা যেহেতু গণিত বা বিজ্ঞানে ভালো, তাই অন্য বিভাগ থেকে পাস করাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটা বন্ধ করা যাবে না। তবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একধরনের কোটা চালু করা যেতে পারে।
অধ্যাপক সালাউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম তকী ফয়সাল বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এখন নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত। সর্বশেষ ৪০তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া প্রশাসন ক্যাডারের প্রথম জান্নাতুল ফেরদৌস এখন নিয়োগের অপেক্ষায় আছেন। তিনি কুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ ক্যাডারে প্রথম ফাইজুল করীমও কুয়েট থেকে পাস করেছেন। এবার পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম মোহাইমিনুল ইসলাম বুয়েট থেকে পাস করেছেন।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ দেশে যদি প্রকৌশলী বা চিকিৎসকদের পাস করা সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে চাকরির বাজার ঠিক রাখা যায় এবং পদোন্নতির বৈষম্য দূর করা যায়, তাহলে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা নিজেদের পেশায় বেশি আগ্রহী হবেন।

চাকরিতে প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্য

মন্ত্রণালয়গুলোর শীর্ষ সব পদই প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে পেশাগত বিশেষ দক্ষতা থাকার পরও পেশাভিত্তিক অন্য ক্যাডাররা শীর্ষ পদে যেতে পারেন না।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির যুগ্ম মহাসচিব জিয়া আরেফিন আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের প্রাধান্য থাকার কারণে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, কর্ম কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে প্রশাসন ক্যাডারের একক নিয়ন্ত্রণ।

বিসিএসে প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসা ক্যাডারের সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডারদের বৈষম্য দীর্ঘদিনের। প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে সময়মতো পদোন্নতি, বাড়ি-গাড়ির সুবিধা, অতিরিক্ত ভাতা বা বিদেশে পদায়ন ও সফরের সুবিধা থাকলেও অন্য ক্যাডারে নেই। বৈষম্য নিরসনের দাবি আদায়ে এই তিন পেশার ক্যাডাররা মিলে প্রকৃচি (প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক) নামে একটি সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রকৃচি নেতারা বলছেন, সচিব পদে যেকোনো ক্যাডার কর্মকর্তার নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ক্যাডার বৈষম্যের কারণে কারিগরি মন্ত্রণালয়গুলোতে সচিব পদসংশ্লিষ্ট ক্যাডার বা পেশার কর্মকর্তা দ্বারা পূরণ করা হয় না। কারিগরি পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়নের ফলে সমস্যা দিন দিন বাড়ছে এবং পেশাজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী কর্মকর্তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতির বিষয়ে এসব মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী কোনো পদই প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসকদের জন্য সংরক্ষিত নেই। এ জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মত গ্রহণের সুযোগ নেই। সব ক্যাডারের চাকরির বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। যেমন কারিগরি মন্ত্রণালয়ের সচিব হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হওয়া উচিত কৃষিবিদের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হওয়া উচিত চিকিৎসকের। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না।

প্রকৃচির কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আন্তক্যাডার বৈষম্যের কারণে মেধাবী চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্রসহ সাধারণ ক্যাডারের দিকে ঝুঁকছেন। আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ১০ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। যাঁদের বাস্তবায়ন করার কথা, তাঁরাই চান না এই বৈষম্য দূর হোক। এভাবে বৈষম্য চলতে থাকলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র চিকিৎসক ও প্রকৌশলীশূন্য হয়ে যাবে।

পদোন্নতির চেয়েও মর্যাদার সংকট প্রকট

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের পদোন্নতির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। যথাসময়ে পদোন্নতি না হওয়ার কারণে যতটা না আর্থিক ক্ষতি, তার চেয়ে বেশি মর্যাদার সংকটে ভোগেন চিকিৎসকেরা।

বুয়েট থেকে পাস করা মাইয়াজ ইবনে প্রামাণিক ২০১২ সালে ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। তিনি এখন টাঙ্গাইলে অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একই ব্যাচের প্রশাসন, পুলিশ বা পররাষ্ট্রে যাঁরা আছেন, তাঁরা ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেলেও আমরা পাইনি। এমনকি আমাদের তিন ব্যাচ পরের ৩৪তম বিসিএসের প্রশাসন, পুলিশ বা পররাষ্ট্রে যাঁরা, তাঁরাও ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন। প্রশাসন ক্যাডার থেকেই সচিব-উপসচিব করা হয়। কিন্তু প্রকৌশল, চিকিৎসক ও কৃষি ক্যাডার থেকে সরাসরি সেই সুযোগ নেই বললেই চলে।

অবশ্য শুধু পেশাগত বৈষম্যের জন্যই চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা পেশা পরিবর্তন করছেন না বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাডারদের বৈষম্যের বিষয়টি সরকার বিশ্লেষণ করে তা দূর করার চেষ্টা করছে। তবে অনেকে চিকিৎসা ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করলেও প্রশাসন বা পুলিশের চাকরি করতে পছন্দ করেন, হয়তো সে জন্যই পেশা পরিবর্তনের বিষয়টি ঘটছে।

পরামর্শ

প্রকৌশলী–চিকিৎসকেরা সাধারণ ক্যাডারে গিয়ে নিজের পেশা বদলের ফলে কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না, দেশে একসময় প্রকৌশলী, চিকিৎসক বা কৃষিবিদের ঘাটতি তৈরি হবে কি না সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার মনে করেন, বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে প্রকৌশলী, চিকিৎসক বা কৃষিবিদদের একটি অংশ চলে গেলেও দেশের ক্ষতি হওয়ার কারণ নেই। কারণ, প্রতিবছর এসব বিষয়ে অনেকে পাস করছেন। তাই কিছুসংখ্যক প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও কৃষিবিদ বিসিএস সাধারণ ক্যাডারগুলোয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসে সমৃদ্ধ করছেন সিভিল সার্ভিস।

পেশা বদলের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে কিছু কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সালাউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রকৌশলী বা চিকিৎসকদের প্রশাসন, পুলিশ বা পররাষ্ট্রের মতো আকর্ষণীয় ক্যাডারে আসা বন্ধের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তাঁরা মেধার পরিচয় দিয়েই এসব ক্যাডারে আসছেন।

তাঁরা যেহেতু গণিত বা বিজ্ঞানে ভালো, তাই অন্য বিভাগ থেকে পাস করাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটা বন্ধ করা যাবে না। তবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একধরনের কোটা চালু করা যেতে পারে বলে মনে করেন এই গবেষক। তাঁর মতে, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও কলা বিভাগ থেকে পাস করা তরুণেরা কোন ক্যাডারে কতজন যাবেন, তা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এ ছাড়া ক্যাডারদের মধ্যেও কোনো বৈষম্য রাখা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।