চলতি মাসের মধ্যেই ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে পিএসসি পছন্দের পদে আবেদন চেয়েছে প্রার্থীদের কাছ থেকে। তাঁদের সর্বোচ্চ ২০টি পদে আবেদন করার সুযোগ ছিল। এখান থেকে নির্বাচিত একটি পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
পিএসসি সূত্র জানায়, নন-ক্যাডারে পদ পেতে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের পছন্দক্রম প্রদানের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র চেয়েছে পিএসসি। পছন্দক্রমের আবেদন শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার।
৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে যাঁরা নিয়োগের অপেক্ষায় আছেন, তাঁদের কবে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে, তা জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই মাসের মধ্যেই নন-ক্যাডারদের বিভিন্ন পদে যোগ্যতা অনুসারে নির্বাচিত করার কাজ শেষে নিয়োগের সুপারিশের পরিকল্পনা আছে পিএসসির।
গত ১৯ জুন পিএসসি ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা ২০১৮-এর লিখিত ও মৌখিক—উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ক্যাডার পদে অনেককে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। এমন প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যে ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডে নন-ক্যাডার পদে চাকরি পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে অনলাইনে আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিয়োগবিধি অনুযায়ী যোগ্যতা রয়েছে—এমন প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বাছাই করে সুপারিশের জন্য পিএসসি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত অধিদপ্তর/দপ্তরের পদে পছন্দক্রম প্রদানের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ ৩৮৪টি। এ পদটি ১২তম গ্রেডের। গত বছরের ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
জুলাই মাসের মধ্যেই নন-ক্যাডারদের বিভিন্ন পদে যোগ্যতা অনুসারে নির্বাচিত করার কাজ শেষে নিয়োগের সুপারিশের পরিকল্পনা আছে পিএসসির।মো. সোহরাব হোসাইন, পিএসসিে চেয়ারম্যান
এ ছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি, এমন ৮ হাজার ১৬৬ প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়। নন-ক্যাডারে পদ পেতে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে মোট ৪ হাজার ৪৭৮ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে।