দেশে প্রথমবারের মতো প্রক্সি ঠেকাতে গণপূর্ত অধিদপ্তরে চাকরির পরীক্ষায় ফেস আইডি শনাক্তকরণ অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়েছেন। তবে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি।
গতকাল শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে প্রবেশপত্রের ছবি ও উপস্থিত পরীক্ষার্থীর মুখের ছবি ছবি মেলানো হয়েছে। এতে ফেস ডিটেকশন সিস্টেম ব্যবহার করে প্রক্সি দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে সব প্রার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি ও প্রার্থীদের মুখের ছবি মেলানো হয়েছে। এ রকম ফেস আইডি শনাক্তকরণ অ্যাপ সব চাকরির পরীক্ষায় ব্যবহার করলে প্রক্সি প্রার্থীরা ধরা পড়তেন। আর এতে মেধারীরা চাকরি পেতেন। এই অ্যাপ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষা ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষাতেও ব্যবহার করা উচিত। কারণ, এসব পরীক্ষায় প্রক্সি প্রার্থী অনেক দেখা যায়।
জানতে চাইলে গণপূর্তের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্র আমি নিজেও গিয়েছি। কার্যক্রম সম্পর্কে সব সময় খোঁজ নিয়েছি। আগে থেকে ক্যামেরা দিয়ে যাচাই করার কথা প্রবেশপত্রে প্রচার করায় প্রক্সি পরীক্ষা দিতে তেমন কেউই সাহস করেননি। তবে সবুজবাগ কেন্দ্রে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে কর্মকর্তাদের বলেছি, সবাই মিলে একজনকে আটকাতে পারলেন না!’ এ ধরনের পরীক্ষায় অ্যাপ ব্যবহারের সুফল মিলবে বলে মনে করেন সচিব।
সূত্র জানায়, পরীক্ষার আগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরের সফটওয়্যার টিম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘ফেস আইডি শনাক্তকরণ অ্যাপ’ হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য গত ২১ ডিসেম্বর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।