মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীরা সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গিয়ে শোনেন, পরীক্ষা হবে না। সাড়ে ১০টার দিকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা।
রাজধানীর শান্তিনগরে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে যান শায়লা খাতুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্রে গিয়ে শুনি পরীক্ষা হবে না। এরপর মাইকে ঘোষণা আসে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে তামাশা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো উচিত। আজ কয়েক হাজার প্রার্থী কষ্ট করে কত দূর থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। সবার এ কষ্টের দায়ভার কে নেবে?’
কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ তোলেন।
খুলনা থেকে আজ চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ইসমাইল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ করে পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসলাম। একজন বেকার ছেলে কত কষ্টার্জিত টাকায় পরীক্ষা দিতে আসে, সেটা কেউ বুঝবে না। আমার মতো কয়েক হাজার প্রার্থী কষ্ট করে ঢাকায় এসেছেন পরীক্ষা দিতে, পরীক্ষা না দিয়েই চলে যেতে হচ্ছে। এর চেয়ে হতাশার আর কী হতে পারে। বেকারদের নিয়ে ভাবার কারও সময় নেই।’
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা আজ বেলা ১১টায় ঢাকার ২০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রে কেন্দ্রে মাইকে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর সাড়ে ১১টার দিকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো হয় এবং প্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হয়।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি মনোয়ারা ইশরাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীন আজ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠেয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে-কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই/নির্বাচনী পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। পরবর্তীকালে পরীক্ষার তারিখ ও সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিতের কারণ জানতে মনোয়ারা ইশরাতের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি তিনি।