৪৩তম বিসিএসের ভাইভার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একটি ডেডলাইন বা সময়সীমা চূড়ান্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চাইছে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভাইভা শেষ করতে। আর এটি করা গেলে চলতি বছরই এই বিসিএস শেষ করা যেতে পারে বলে মনে করছে পিএসসি।
জানতে চাইলে পিএসসি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ৪৩তম বিসিএসের প্রথম পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পরীক্ষককে খাতা দেখতে দেওয়া হয়। এখন দ্বিতীয় পরীক্ষকও খাতা দেখা শেষ করেছেন। সেগুলো মূল্যায়নের কার্যক্রম চলছে। দুই পরীক্ষকের নম্বরের পার্থক্য ২০ শতাংশের বেশি হলে তা তৃতীয় পরীক্ষক দেখবেন। তবে সেই সংখ্যা এবারে কম হতে পারে বলে মনে করছেন পিএসসি সূত্র। আগামী মার্চের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসসের খাতা দেখার কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা পিএসসির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ৪১তম বিসিএসে পরীক্ষকদের ভুলের কারণে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা দেরি হয়। এ ছাড়া প্রায় ১৫ হাজার খাতা নম্বর গড়মিলের কারণে তা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। পরে চূড়ান্ত ভাবে খাতা দেখা শেষ করতে এক বছরের বেশি সময় লাগে। ৪১তম বিসিএস থেকে শিক্ষা নেয় পিএসসি। এরপর ৪৩তম বিসিএসের খাতা দেখার আগে পরীক্ষকদের ভুল কমানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় ও খাতা দেখতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ জন্য ৪৩তম বিসিএসে খাতা দেখতে সময় কম লেগেছে বলে জানায় পিএসসি।
পিএসসি সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে ৪১তম বিসিএসের ভাইভা চলছে। এই ভাইভা শেষ হবে জুলাই মাসে। কিছুদিন সময় নিয়ে পিএসসি ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শুরু করতে চায়। এ ছাড়া এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফলও এই বছরের মধ্যে দেওয়ার সময়সীমা ঠিক করেছে পিএসসি।
গত বছরের জুলাই মাসে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।