স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা শূন্য পদে বদলির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা শূন্য পদে বদলির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন

শূন্য পদে বদলি চেয়ে আজও মানববন্ধন শিক্ষকদের

বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা শূন্য পদে বদলির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকেরা।  ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে সারা দেশ থেকে আসা দুই শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক শিল্পী রানী বলেন, ‘আমার বাড়ি জয়পুরহাট, আমার স্বামী সেখানে চাকরি করেন। কিন্তু আমার পোস্টিং ঢাকায়। তাই আমাকে পরিবার ছেড়ে ঢাকায় থাকতে হয়। সামান্য ১২ হাজার টাকা বেতন বাসাভাড়া দিতেই যায়। বদলির ব্যবস্থা থাকলে আমি জয়পুরহাটে গিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে পারতাম।’

আব্দুস সাদেক নামের আরেকজন শিক্ষক বলেন, আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও। কিন্তু আমি চাকরি করি কক্সবাজারে। বদলির ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে থাকতে হচ্ছে আমাকে।’

ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রোববার মানববন্ধন শেষে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষকেরা বলেন, নিজের বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকায় মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে বাসাভাড়া দিতেই বেতনের অর্ধেক টাকা চলে যায়। ইতিমধ্যে শিক্ষকদের কষ্টের কথা কিছু উপলব্ধি করতে পেরে বিদায়ী সরকার পারস্পরিক বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ প্রজ্ঞাপন দিয়ে ১ শতাংশ শিক্ষকও বদলি হতে পারবেন না এবং নিজ জেলায় সম পদ পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যাবে। এতে শিক্ষকবৈষম্য আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল ও কলেজে শূন্য পদের বিপরীতে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে বদলির অনুমতি দেওয়া হোক।