স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান চিকিৎসকসংকট নিরসনে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডাররা চিকৎসকদের ক্যাডারভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাজারো নন-ক্যাডার চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। গত ৩০ এপ্রিল এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ পান। এরপরই ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসক ক্যাডারভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করছেন।
মানববন্ধনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকেরা জানান, দেশে চিকিৎসকের সংকট আছে। তাঁরা ক্যাডারভুক্ত হতে পারেননি। চিকিৎসক–সংকট নিরসনে ক্যাডারভুক্তির দাবি জানান তাঁরা। ক্যাডারভুক্ত না করা হলে আন্দোলন চলবে বলে জানান নন-ক্যাডার চিকিৎসকেরা।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে থেকে যাতে আরও ২২৫০ চিকিৎসক নেওয়া হয়, সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। এর অনুলিপি পিএসসিকে দেওয়া হয়। এ বছরের ১৫ এপ্রিল এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সময় দেয় পিএসসি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো জবাব পিএসসিতে আসেনি। এ কারণে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় এই বিসিএস থেকে আরও ২ হাজার চিকিৎসকসহ মোট ৬ হাজার ৫৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে, উপজেলা থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১ হাজার চিকিৎসক অবসরে যাবেন। ৩৯ তম বিসিএস থেকে যে ৪৫৪২ সহকারী সার্জন ও ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। সব বিষয় বিবেচনা করে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
৩৯ তম বিশেষ বিসিএস আয়োজন করা হয় চিকিৎসকদের জন্য। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৭ মার্চ এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।